মানিকগঞ্জে পোলট্রি মুরগির মূল্য হ্রাসবৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছে খামারি ও খুচরা বিক্রেতারা। একবার লাভবান হলে আরেকবার লোকসান গুনতে হচ্ছে। উচ্চ মূল্যে মুরগি বিক্রি করেও অনেক সময় লোকশান গুনতে হচ্ছে তাদের। সেই সঙ্গে ক্রেতারাও হিমশিম খাচ্ছে চড়া দামে মুরগি কিনতে। মুরগির দাম বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মুরগির খাবার, ওষুধ ও বাচ্চার দাম। অপরদিকে মুরগির দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছে ক্রেতারাও। আজ একদাম কাল আরেক দাম এ নিয়ে প্রতিনিয়ত ক্রেতা বিক্রেতার মধ্যে ঝামেলা চলছেই। স্বল্প আয়ের মানুষ থেকে মধ্যবিত্তের লোকজন তাদের চাহিদা মেটায় পোলট্রি মুরগি দিয়ে। কিন্তু এগুলোও আয়ত্তের বাইরে চলে যাচ্ছে। নিয়মিত ব্রয়লার মুরগি ক্রেতা আলী আজম বলেন, সকল প্রকার মাছের দাম চড়া ব্রয়লার মুরগিই ছিল আমাদের একমাত্র ভরসা। এখন এ মুরগি কেনাও কষ্টের। তিনি আরও বলেন, বাচ্চাদের এখন কী খাওয়ামু। বাজারে বেশিরভাগ ক্রেতাই হতাশ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শহরের এক শিক্ষক বলেন, আমি নিয়মিত সোনালি মুরগি ক্রয় করে ড্রেসিং করে নিতাম। দেশি মুরগি তো কেনা সম্ভব নয়। বাসার লোকজন দেশি মুরগি মনে করেই খেত। এখন সোনালি কেনার মতো অবস্থাও নেই। শহরের বেওথা এলাকার মায়ের দোয়া খামারির মালিক আনিসুর রহমান কোনো নীতিমালা না থাকার কারণে আমরা সব সময় ঝুঁকি নিয়ে ব্যবসা করি। গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির পাইকারি দাম ছিল ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা কেজি। বর্তমানে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা কেজি। সোনালি মুরগিও কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা কমেছে। তিনি আরও জানান, তার খামারে ২০ হাজার মুরগি রয়েছে। এখন তিনি ক্ষতির মুখে পড়েছেন। মুরগির দাম কমলেও মুরগির খাবারের দাম কমেনি। তিনি একজন খুচরা বিক্রেতাও। মানিকগঞ্জ বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী সাব্বির আহমেদ লাবু ও ইউসুফ আলী বলেন, মুরগির উঠানামা করায় আমরা খুব সমস্যায় আছি। ক্রেতারা আমাদের ওপর আস্থা হারাচ্ছে। খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলেন, কোনো নীতিমালা না থাকার কারণে খাদ্য ও বাচ্চার দাম ঠিক থাকে না। তাই বাজারে অস্থিরতার সৃষ্টি হয়। সবাই দাবি করেন একটি বাস্তবসম্মত নীতিমালা করার। জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, মানিকগঞ্জ জেলায় ১৩৭টি লেয়ার, ১৪০টি ব্রয়লারসহ কক ও সোনালি মুরগি মিলে তিন শতাধিক পোলট্রি মুরগির খামার রয়েছে। করোনা ও বন্যার কারণে বেশ কিছু খামার বন্ধ হয়ে গেছে। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মাহবুবুল ইসলাম বলেন, মুরগির বাচ্চা ও খাদ্যের দাম অতিরিক্ত বাড়ার কারণে বেশি দামে মুরগি বিক্রি হচ্ছে। মূল্য উঠানামার কারণে খামারি, খুচরা ক্রেতা-বিক্রেতা সবাই বিরম্ভনার শিকার হচ্ছেন। একটি সঠিক নীতিমালা থাকলে এরকম হতো না। একটি বাস্তবসম্মত নীতিমালা প্রয়োজন। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হবে।
শিরোনাম
- বলিভিয়ায় বাল্যবিবাহ বন্ধে আইন পাস
- বিদ্যালয়ে ঘুষকাণ্ড: অফিস সহায়ককে বের করে দেওয়ার অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে
- ২০২৬ সালের অমর একুশে বইমেলা শুরু ১৭ ডিসেম্বর
- বগুড়ায় খাবার অযোগ্য বিট লবণ জব্দ, লাখ টাকা জরিমানা
- শ্রীপুরে উপজেলা আন্তঃস্কুল ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত
- ফিলিস্তিনপন্থী নেতা মাহমুদ খলিলকে আলজেরিয়া অথবা সিরিয়াতে প্রত্যাবর্তনের নির্দেশ
- একই সঙ্গে কুরআনের হাফেজ হলেন দুই ভাই
- ফ্রান্সে পেশাজীবী সংগঠনগুলোর ধর্মঘট, চাপে ম্যাক্রো
- ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাংবাদিক শফিকুর রহমানের স্মরণে শোকসভা
- নির্বাচন কমিশনের হাতেই থাকছে জাতীয় পরিচয়পত্র
- এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর, বাড়ছে বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ও উৎসব ভাতা
- কলাপাড়ায় মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজে নবীনবরন অনুষ্ঠিত
- মাদারীপুরের ডাসারে পুকুরে ডুবে দুই ভাই নিহত
- মাদারীপুরে দাফনের দেড় মাস পর ঠিকাদারের মরদেহ উত্তোলন
- রূপগঞ্জে শুরু হলো তিন দিনব্যাপী আইন শিক্ষার্থীদের বুট ক্যাম্প
- ফ্লোরিডায় তিন খুনের দায়ে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
- চট্টগ্রামে তিন শতাধিক মানুষ পেল চিকিৎসা ও ওষুধ
- ইভ্যালির রাসেল-শামীমার ৩ বছরের কারাদণ্ড
- দুই মাসের মধ্যে ট্রাম্পের ২৫ শতাংশ জরিমানা শুল্ক থেকে মুক্তির আশা ভারতের
- পিআর পদ্ধতির কথা বলে নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে: সুলতান সালাউদ্দিন টুকু
বিপাকে পোলট্রি খামারিরা
মো. কাবুল উদ্দিন খান, মানিকগঞ্জ
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর

ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সহায়তায় জলবায়ু অর্থায়ন ন্যায্যভাবে বণ্টন করতে হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
৭ মিনিট আগে | জাতীয়

বিদ্যালয়ে ঘুষকাণ্ড: অফিস সহায়ককে বের করে দেওয়ার অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে
৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ফিলিস্তিনপন্থী নেতা মাহমুদ খলিলকে আলজেরিয়া অথবা সিরিয়াতে প্রত্যাবর্তনের নির্দেশ
৪৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম