কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার ষোলদাগ এলাকায় কলা খেত থেকে নারীর দগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় নাটকীয় মোড় নিয়েছে। মরদেহটি গৃহবধূ সজনীর বলে শনাক্ত করা হলেও সেটি তার নয়। নিখোঁজ সজনী জীবিত রয়েছেন। ঢাকা থেকে তিনি বাবা-মায়ের সঙ্গে ভিডিওকলে কথা বলেছেন। পুলিশ এখন খুঁজছে পোড়া মরদেহটি তাহলে আসলে কার? হত্যার অভিযোগে গ্রেফতারকৃত সজনীর স্বামী লালনকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গত শনিবার সন্ধ্যায় বাহিরচর ইউনিয়নের বারোদাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনের কলাবাগান থেকে দগ্ধ এক নারীর মৃতদেহ পুলিশ উদ্ধার করে। ওইদিন সকালেই স্ত্রী সজনী নিখোঁজের জিডি করেন লালন। সজনীর বাবা-মা তাদের মেয়ের মরদেহ বলে শনাক্ত করলেও স্বামী লালন দাবি করেন এটি তার স্ত্রী সজনীর মরদেহ নয়। এদিকে শনিবার রাতে সজনীর বাবার দায়ের করা হত্যা মামলায় লালনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। গতকাল দুপুরে সজনীর বাবা পুলিশকে জানান, মেয়ে সজনীর সঙ্গে তাদের ভিডিওকলে কথা হয়েছে। সে ঢাকায় আছে। স্বামীকে গ্রেফতারের বিষয়টি জানতে পেরে সজনী ঢাকা থেকে ভেড়ামারার উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছেন। ভেড়ামারা থানার ওসি (তদন্ত) নান্নু খান বলেন, সজনী চলে এলে লালনকে ছেড়ে দেওয়া হবে। এদিকে গতকাল কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে দগ্ধ অজ্ঞাত ওই নারীর মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। মরদেহ ভেড়ামারা থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পুলিশ জানায়, অজ্ঞাত হিসেবে দাফন করার জন্য লাশটি ভেড়ামারা পৌরসভার কাছে হস্তান্তর করা হবে।
