শনিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত দর্জি পাড়া

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত দর্জি পাড়া

ঈদকে সামনে রেখে চাঁপাইনবাবগঞ্জে দর্জি পাড়ার কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করছেন। দিন-রাত সেলাই মেশিনের শব্দে চারদিক মুখরিত হয়ে রয়েছে। যেন দম ফেলার সময় পাচ্ছেন না দর্জি কারিগররা। জানা গেছে, ঈদে ধনি-গরিব, নারী-পুরুষ, ছোট-বড় সবাই নতুন জামাকাপড় পরিধান করে থাকে। আর পছন্দের পোশাক বানাতে দর্জির দোকানগুলোতে ভিড় শুরু করে দিয়েছেন শৌখিন পোশাক গ্রাহকরা। কেননা বাজারে বাহারি পোশাক থাকলেও মানানসই হয় না আর মাপেও ঠিকমতো হয় না। এদিকে জেলা শহরের অভিজাত নিউ মার্কেট, ক্লাব সুপার মার্কেট ও সাটু হল মার্কেটের এ ও বি ব্লকে ইয়োর চয়েস টেইলার্স, জননী লেডিস টেইলার্স, হুমা লেডিস টেইলার্সে গ্রাহকদের ভিড় রয়েছে লক্ষণীয়। স্বাভাবিক কারণেই উৎসব এলেই বিপণি বিতানগুলোতে নারী-পুরুষের পদচারণা বাড়তে থাকে। তবে দর্জির দোকানগুলোতে তরুণী ও বিভিন্ন বয়সের নারীদের উপস্থিতি বেশ লক্ষণীয়। নিউ মার্কেটে আসা ক্রেতারা জানান, ছেলেমেয়েদের চাহিদা অনুযায়ী ভালো কাপড় কিনে পছন্দের পোশাক তৈরির জন্য দর্জির দোকানে আসা। কেউ পছন্দ করেন তৈরিকৃত পোশাক, আবার নিজ পছন্দের ডিজাইনে তৈরি করা পোশাকে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন অনেকেই। এক্ষেত্রে তরুণ-তরুণীদের আগ্রহই বেশি। ক্লাব সুপার মার্কেটে আমেনা বস্ত্রালয়ের স্বত্বাধিকারী মুজিবুর রহমান জানান, ক্রেতারা কাপড় কিনে বিভিন্ন দর্জির দোকানে তাদের পছন্দের পোশাক বানাচ্ছেন। এদিকে কয়েকটি দর্জি কারখানায় অতিরিক্ত কারিগর নিয়োগ করে রাত অবধি ক্রেতাদের চাহিদা মোতাবেক পোশাক তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। যাতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পোশাক সরবরাহ করা যায়। বিভিন্ন দর্জির দোকান ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতাদের অর্ডার নিতে ব্যস্ত রয়েছেন তারা। তবে কেউ কেউ অর্ডার নিচ্ছেন, আবার অনেক দোকানে অর্ডার নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। কারিগররা বলেন, তরুণ-তরুণীদের অর্ডার বেশি পাওয়া যাচ্ছে। তারা তাদের পছন্দের কাপড় ও ডিজাইনের সেলাই অর্ডার দিচ্ছে। এ ছাড়া অনেকে রেডিমেড ক্রয় করে মানানসই করার জন্য নিয়ে আসছে। নিউ মার্কেটের হুমা লেডিস টেইলার্সের স্বত্বাধিকারী শাহিন আলী জানান, এবার রমজানের আগে থেকে কাজের চাপ বেড়ে গেছে। ফলে অর্ডার কম নেওয়া হয়েছে। ডিজাইনের ওপর নির্ভর করে মজুরি নেওয়া হচ্ছে। তবে মজুরি নেওয়া হচ্ছে ৩২০ টাকা।

দাউদপুর রোডের বিসমিল্লাহ টেইলার্সের স্বত্বাধিকারী বাবু জানান, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আধুনিক ফ্যাশন ডিজাইনের পোশাক বানানোর কারণে ক্রেতারা এখানে আসেন। তবে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় এবার ঈদে বাড়তি চাপ রয়েছে। তাই অর্ডার নেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এদিকে দর্জির দোকানে আসা কয়েকজন অর্ডারি জানান, কাপড়ের দাম বেড়েছে, তবে মজুরি খুব একটা বাড়েনি।

 

সর্বশেষ খবর