ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশ্বরোড যান চলাচলের জন্য নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত করতে উদ্যোগ নিয়েছে খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা পুলিশ। নিজস্ব অর্থায়নে গুরুত্বপূর্ণ এই মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে সৃষ্টি হওয়া বড় বড় গর্ত ভরাট করে যান চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। এতে যানজটও অনেকাংশে কমেছে। জানা যায়, সম্প্রতি মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশ্বরোড এলাকায় কয়েকদিন টানা বৃষ্টিতে পানি জমে বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। এতে যানজটসহ ঘটেছে বিভিন্ন দুর্ঘটনা। বিষয়টি খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা পুলিশের নজরে এলে সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেন তারা। গতকাল মহাসড়কের ২৫টি গর্ত ইটের সুরকি ও আস্ত ইট দিয়ে ভরাট করেন।
এ মহাসড়কে চলাচল করা বিভিন্ন পরিবহন চালকরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে খাঁটিহাতা মোড় এলাকায় ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত ছিল। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে গর্তগুলো আরও বড় হয়ে যান চলাচল প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। যানবাহন সড়কে অচল হয়ে যানজটের সৃষ্টি হতো। বিভিন্ন সময়ে দুর্ঘটনাও ঘটতো। গর্তগুলো ভরাট করায় অনেক সুবিধা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুখেন্দু বসু জানান, রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন জেলার সংযোগ বিশ্বরোড মোড়। খাঁটিহাতা এলাকার এ মোড় হয়েই এসব জেলায় যানবাহন চলাচল করতে হয়। এ ছাড়া মহাসড়কে বিপুল পরিমাণ পরিবহনের চাপ থাকে। গুরুত্বপূর্ণ এই মহাসড়কে থাকা ছোট-বড় গর্তগুলো দুর্ভোগ সৃষ্টি করছিল। হাইওয়ে থানা পুলিশ যানজট নিরসনসহ দুর্ঘটনা রোধে এই উদ্যোগ নেয়। আশা করি সংশ্লিষ্ট বিভাগ দ্রুত মহাসড়কে থাকা বিভিন্ন খানাখন্দ ও গর্ত সংস্কারে উদ্যোগ নিয়ে নিরাপদ যাত্র নিশ্চিত করবে।