নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুরে পৃথক দুটি ইউনিয়নে পানিতে ডুবে সুচিলা হাজং (৫৫) ও ডোবায় পড়ে যুবক আবদুল মালেক (৩০) নিহত হয়েছেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নেত্রকোনার দুর্গাপুরের কুল্লাগড়া ইউনিয়নের আড়াপাড়া গ্রামের জ্ঞানেন্দ্র হাজংয়ের স্ত্রী সুচিলা হাজং গত বৃহস্পতিবার নিখোঁজ হন। ওইদিন বিকালে নিজ বাড়ি থেকে গুচ্ছগ্রামে আত্মীয়ের বাড়ি যাচ্ছিলেন। বাড়ির লোকজন আত্মীয়ের বাড়িতে থাকার কথা মনে করে পরদিন যখন বাড়ি ফিরে আসেনি তখন খোঁজাখুঁজি করে। নিখোঁজের দুই দিন পর গতকাল সকালে ছনগড়া পাহাড়ি খালে (ছড়া) স্থানীয়রা লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে নিখোঁজের স্বজনদের নিয়ে সুচিলা হাজংয়ের লাশ নিশ্চিত করে। সাঁতার না জানায় পাহাড়ি খালের পানিতে ডুবে মারা যায় বলে স্বজন ও পুলিশ নিশ্চিত হয়ে আবেদনের প্রেক্ষিতে লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়। অন্যদিকে একই উপজেলার কাকৈরগড়া ইউনিয়নের ইন্দ্রপুরে বাড়ির অদূরে ডোবা থেকে আবদুল মালেক (২৭) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গত শুক্রবার দুপুরে গরু খুঁজতে বের হন। সন্ধ্যায় গরুটি বাড়ি ফিরলেও মালেক বাড়ি ফিরেনি। রাতে তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। বাড়ির অদূরে জমি থেকে ভেকু দিয়ে মাটি তোলার সময় ডোবার পানিতে পড়ে গিয়ে আর উঠতে পারেনি।
পরদিন শনিবার সকালে ওই ডোবায় লাশ ভেসে উঠলে স্থানীয় সাজ্জালসহ অন্যরা দেখতে পান। থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। দুর্গাপুর থানার ওসি মোহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ১০ থেকে ১২ ফুট পানিতে প্রতিবন্ধী যুবকটি পড়ে গিয়ে আর উঠতে পারেনি। দুটি মৃত্যুই সাঁতার না জানার কারণে ঘটেছে। নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা নিশ্চিত করায় সুরতহাল প্রতিবেদন করে লাশ দিয়ে দেওয়া হয়।