মঙ্গলবার, ৯ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

চিকিৎসক-কর্মচারী লাঞ্ছিতের প্রতিবাদ

নীলফামারী প্রতিনিধি

নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক-কর্মচারী লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বেলা ১১টার দিকে জেলা শহরের চৌরঙ্গীমোড়ে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) জেলা শাখা ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগীয় তৃতীয় চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের যৌথ আয়োজনে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে চিকিৎসক, নার্স, নীলফামারী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ও নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধন শেষে সেখানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে জেলা বিএমএর সহসভাপতি ডা. মজিবুল হাসান চৌধুরী শাহিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন ডা. দিলীপ কুমার রায়, হাসান হাবিবুর রহমান, ওবায়দা নাজনীন মুক্তা, আবদুর রহিম, আরিফ হাসনাত প্রমুখ।

, মশিউর রহমান ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সারওয়ার মানিক প্রমুখ। পরে দ্রুত আসামি গ্রেফতারের দাবিতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। বক্তারা জানান, গত ১ আগস্ট দুপুর আড়াইটার দিকে জেলা শহরের টুপির মোড় এলাকার আবু হানিফা (৫৭) নামে এক রোগীকে বুকে ব্যথাজনিত কারণে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন তার স্বজনরা। এ সময় সম্ভাব্য সব চিকিৎসা শেষে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। পরে অ্যাম্বুলেন্সে ওঠার সময় ওই রোগী মারা যান। মৃতের স্বজনরা লাশ নিয়ে যাওয়ার প্রাক্কালে নীলফামারী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মাহফুজার রহমান শাহ্ চিৎকার করতে করতে সঙ্গীয় ১৫ থেকে ২০ জনকে নিয়ে জরুরি বিভাগে প্রবেশ করে অ্যাম্বুলেন্স চালক আনোয়ার হোসেনকে চপেটাঘাত ও ধাক্কা মেরে ফেলে দেন। এ সময় সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয়ের ওপর চড়াও হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ তাদের শারীরিকভাবে হেনস্তা ও সরকারি কাজে বাধা প্রদান করেন। তাদের অভিযোগ, এ ঘটনায় থানায় মামলার এক সপ্তাহেও গ্রেফতার হয়নি প্রধান আসামি। নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আবদুর রহিম জানান, ঘটনার সময় জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ছিলেন শাতিল সাইমুম চৌধুরী। ঘটনার পর ২ আগস্ট থানায় মামলাটি করেছেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আবু-আল হাজ্জাজ। এদিকে পৌর কাউন্সিল মো. মাহফুজার রহমান শাহ্ তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘ওই রোগী আমার ওয়ার্ডের। রোগীকে হাসপাতালে নেওয়ার ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট পার হলেও চিকিৎসক তাকে দেখেননি বলে স্বজনরা আমাকে ফোন করে জানায়। এরই মধ্যে রোগীর মৃত্যু হয়। সেখানে পৌঁছে স্বজনদের মধ্যে উত্তেজনা দেখতে পাই। একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি লোকজনকে শান্ত করি। আমার মাধ্যমে ডাক্তার, নার্স এবং অন্য কোনো কর্মচারী লাঞ্ছিতের ঘটনা ঘটেনি। যা হাসপাতালের সিসি ফুটেজ দেখলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। দায়েরকৃত মামলাটির নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করছি আমি।’

সর্বশেষ খবর