মঙ্গলবার, ১৬ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৩২ ঘরের মধ্যে ২৬টি তালাবদ্ধ

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৩২ ঘরের মধ্যে ২৬টি তালাবদ্ধ

বসতবাড়ির পাশে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর

ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুরে ভূমিহীনদের জন্য সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৩২টি ঘরের মধ্যে ২৬টিই তালাবদ্ধ থাকে। এসব ঘরে তারা কেউ থাকেন না। যারা ঘর পেয়েছেন তাদের অনেকে বিত্তবান। তাদের নিজস্ব জমি ও বাড়ি আছে। প্রকৃত দরিদ্র ভূমিহীনরা ঘর পাননি এবং টাকা লেনদেনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহাবুবর রহমান বলেন, অনিয়মের অভিযোগ পেয়েছি। উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি তদন্ত করতে বলেছি। সত্যতা পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হরিপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রাকিবুজ্জামান বলেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ঘর দেওয়ার কথা বলে অর্থ লেনদেনের কথা শুনেছি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবগত করেছি। ইউপি চেয়ারম্যান ও বকুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু তাহের বলেন, টাকা নেওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়। আমি কারও কাছ থেকে অর্থ নিইনি। জানা যায়, হরিপুর উপজেলার ৩ নম্বর বকুয়া ইউনিয়নে গোয়ালদিঘি গ্রামে ভূমিহীনদের জন্য সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পে প্রথম ধাপে ২৬ ও দ্বিতীয় ধাপে ছয়টি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়। অভিযোগ উঠেছে, ৩২টি ঘরের মধ্যে ২৬টি ঘরই দেওয়া হয়েছে সচ্ছল ব্যক্তিদের। প্রকৃত ভূমিহীনদের কাছে টাকা নিয়েও দেওয়া হচ্ছে না ঘর। ভুক্তভোগীরা প্রতিদিন চেয়ারম্যানের বাড়ি, ভূমি অফিস ও ইউএনওর অফিসে ধরনা দিচ্ছেন। এ বিষয়ে গত ২৬ জুলাই মানিক নামের এক ভুক্তভোগী টাকা নেওয়ার বিষয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

ভুক্তভোগী আনোয়ার, মানিকসহ আরও অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেওয়ার কথা বলে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও তার লোক আমাদের কাছে প্রতি ঘরের জন্য ৭০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত নেন। কিন্তু আজও আমরা ঘর বুঝে পেলাম না। ঋণ ও গরু-ছাগল বিক্রি করে টাকা দিয়েছি।

 

সর্বশেষ খবর