ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে পানির কূপ থেকে বৃষ্টি আক্তার (২) দুই মাস বয়সী এক শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। রোমহর্ষক ঘটনাটি ঘটেছে হালুয়াঘাট উপজেলার জুগলী ইউনিয়নের বাঘাইতলা এলাকায়। গতকাল ভোরে বাড়ির পার্শ্ববর্তী স্থানে অবস্থিত বিশুদ্ধ পানির কূপ থেকে হালুয়াঘাট ফায়ার সার্ভিসের দমকল বাহিনীদের সহায়তায় শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতদেহ উদ্ধার হওয়া শিশু বৃষ্টি একই গ্রামের পরিবহন শ্রমিক বাদশা মিয়া ও আম্বিয়া দম্পতির কন্যা। থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানায়, দিবাগত রাতের কোনো এক সময় ঘরের সিঁধ কেটে শিশুটির মা আম্বিয়াকে হাত-পা বেঁধে মুখে ওড়না পেঁচিয়ে মুখোশ পরিহিত অজ্ঞাত তিনজন বিছানা থেকে ঘুমন্ত অবস্থায় শিশুটিকে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে মায়ের ডাক-চিৎকারে পাশের ঘরে ঘুমিয়ে থাকা স্বজনরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে। পরিবারসহ পাগল প্রায় মা তাৎক্ষণিক শিশুটিকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। খোঁজাখুঁজির শেষভাগে কূপের ডাকনা খুলতেই শিশুটির লাশ রহস্যজনকভাবে ভেসে ওঠে। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয়দের ধারণা, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড।
নিকট আত্মীয়দের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিরোধ ও পারিবারিক কলহের জের ধরে রাতের কোনো এক সময়ে শিশুটিকে হত্যা করে কুয়ায় ফেলে দেওয়া হতে পারে। পরে ৯৯৯ এর মাধ্যমে পুলিশ বিষয়টি অবহিত করা হয়। খবর পেয়ে হালুয়াঘাট থানা পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার পূর্বক ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। পাশাপাশি ঘটনা জড়িত সন্দেহে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিশুটির পিতা বাদশা মিয়া ও মা আম্বিয়া খাতুনসহ আপন দুই মামাকে থানায় আনা হয়েছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ওসি (তদন্ত) ইমরান আল হোসাইন। এ ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (হালুয়াঘাট সার্কেল) সাগর বিশ্বাস দিপা। জানতে চাইলে হালুয়াঘাট থানার ওসি মো. শাহীনুজ্জামান খান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও দমকল বাহিনীর সহায়তায় শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে।