সৈয়দপুরে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারে বিক্রি করা নিয়ে নারী যাত্রী ও রেলস্টেশন বুকিং সহকারীর মধ্যে মারামারি ঘটেছে। বুধবার রাত ৮টায় এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে সৈয়দপুর রেলওয়ে থানায় উভয়ে পাল্টাপাল্টি মামলা করেছেন। অভিযোগকারী নারী যাত্রীর নাম রাবেয়া ইসলাম মণি। তাঁর বাড়ি শহরের হাতিখানার চারমাথায়। বুকিং সহকারীর নাম জাহিদুল ইসলাম রণি। জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যায় ওই নারী ১ অক্টোবর ঢাকাগামী আন্তনগর নীলসাগর এক্সপ্রেসের টিকিটের জন্য স্টেশনে যান। কাউন্টারের বুকিং সহকারী জানান ওই তারিখের কোনো টিকিট নেই। তবে বুকিং সহকারী তাকে কালোবাজারে টিকিট পেতে সৈয়দপুর বাজারের গ্লোবাল কম্পিউটারের দোকানে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সেখানে ছয়টি টিকিটের মূল্য বাবদ গ্লোবাল কম্পিউটারের মালিক মনোয়ার হোসেন ওই নারী যাত্রীর কাছ থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকা নিয়ে তাঁকে বুকিং সহকারী রণির কাছে পাঠান। ওই নারী জানান, বুকিং সহকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁকে আক্কেলপুর থেকে ঢাকা পর্যন্ত চারটি টিকিট ১ হাজার ৫০০ ও এবং পার্বতীপুর থেকে জয়পুরহাট পর্যন্ত ৩০০ টাকা মূল্যের দুটি টিকিট দেন। এ সময় যাত্রী মণি সৈয়দপুর থেকে ঢাকা পর্যন্ত টিকিট প্রদান না করায় এবং টিকিটের মূল্য ১ হাজার ৮০০ টাকার স্থলে ৩ হাজার ২০০ টাকা নেওয়ার কথা বললে বুকিং সহকারী অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। একপর্যায়ে আরও দুজন রেল কর্মচারী মিলে তাঁকে টেনে-হিঁচড়ে বুকিং সহকারীর কক্ষে আটকে মহিলা রেল কর্মচারীসহ শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। তাঁর টিকিট ও ব্যবহৃত মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। ওই নারী যাত্রী তাঁকে লাঞ্ছিত করেছেন দাবি করে জাহিদুল ইসলাম রণি জানান, তিনি এ ঘটনায় রেলওয়ে থানায় মামলা করেছেন। অভিযোগে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সৈয়দপুর স্টেশন মাস্টার ওবায়দুল ইসলাম রতন জানান, মারামারির ঘটনা তদন্তে বিভাগীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর রহমান বিশ্বাস বলেন, ‘পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’