সোমবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

ভাতার কার্ড পাওয়ার পর জানলেন তিনি বিধবা

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামারদহ ইউনিয়নের চাঁদপাড়া গ্রামে গৃহবধূ রেখা বেগম (৩৮) স্বামী-সন্তান নিয়ে দিব্যি সংসার করলেও পেয়েছেন বিধবা ভাতার কার্ড। এক বছরের বেশি সময় ভাতার টাকা উত্তোলনের পর সম্প্রতি তার নিজের সন্তান কার্ডের লেখা পড়ে এ তথ্য জানেন। রেখা বেগমের ভ্যানচালক স্বামী ময়নুল ইসলাম জানান, তার স্ত্রীকে প্রতিবন্ধী ভাতা পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের দালালেরা ৮ হাজার টাকা নেন। এর এক বছর পর তার মোবাইল হিসাব নম্বরে ভাতার টাকা আসতে থাকে। এক বছরের বেশি সময় ভাতা উত্তোলনের একপর্যায়ে একটি বই পান তারা। ময়নুল ইসলাম আরও বলেন, গত শুক্রবার তার ছেলে রিয়াদ বইটি পড়ে এটি বিধবা ভাতার কার্ড বলে তাকে জানান। রেখা বেগম বলেন, এক বছর আগে তিনি প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য কামারদহ ইউনিয়ন পরিষদে যান। তৎকালীন ইউপি সদস্য ফুলমিয়া প্রতিবন্ধী কার্ড করে দিতে ৮ হাজার টাকা দাবি করেন। তখন চৌকিদার বাবলুর মাধ্যমে ফুলমিয়াকে ৮ হাজার টাকা দেই। বাবলু এ তথ্য স্বীকার করে বলেন, মেম্বার ফুলমিয়ার নির্দেশ অনুযায়ী রেখার কাছ থেকে শুধু টাকা তাকে এনে দিয়েছি। সেটা কিসের টাকা তা আমি জানি না। কামারদহ ইউপি চেয়ারম্যান তৌকির হাসান রচি জানান, বিষয়টি আমার ওপর বর্তায় না। এ অনিয়ম আগের চেয়ারম্যানের সময়ে হয়েছে। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শাকিলা বেগম বলেন, ওই বিধবা ভাতার বই এখন আমার কাছে আছে। আমি এর পরিবর্তে রেখাকে একটি প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দিতে চেয়েছি।

সর্বশেষ খবর