বগুড়া জিলা স্কুলে শিক্ষার্থী ভর্তি করা নিয়ে শিক্ষক-অভিভাবকদের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। শিক্ষকের কার্যালয়ে গতকাল বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জিলা স্কুল সূত্রে জানা যায়, তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ১১ হাজার ৪০০ শিক্ষার্থী আবেদন করে। ১২ ডিসেম্বর লটারির পর অনলাইনে ও স্কুলের নোটিস বোর্ডে ফলাফল দেওয়া হয়। এ সময় একই শিক্ষার্থীর নাম ভর্তি তালিকায় একাধিকবার পাওয়া যায়। এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) নির্দেশ দেয় একাধিকবার আবেদন করা শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবে না। সে মোতাবেক ভর্তি প্রক্রিয়ার কাগজপত্র যাচায়-বাছাইয়ে গতকাল পর্যন্ত ৫৭ শিক্ষার্থীর আবেদন বাতিল হয়েছে। ভর্তি বাতিলের জের ধরে গতকাল সকালে কয়েকজন অভিভাবক জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কার্যালয়ে গিয়ে তর্কে জড়ান। একপর্যায়ে অভিভাবকদের অন্য শিক্ষকরা থামাতে গেলে হাতাহাতি হয়। প্রধান শিক্ষক শ্যামপদ মোস্তফী জানান, মাউশির নির্দেশে মঙ্গলবার ৫৪ শিক্ষার্থী ও গতকাল আরও তিন শিক্ষার্থীর ভর্তি আবেদন বাতিল হয়। এ ঘটনার পর কিছু অভিভাবক এসে হট্টগোল শুরু করেন। তাদের মাউশির কাছে আবেদনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।