শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

বঙ্গবন্ধু ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর পার্বতীপুরে

দিনাজপুর প্রতিনিধি

বঙ্গবন্ধু ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর পার্বতীপুরে

বঙ্গবন্ধু ও মহান মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাথার ইতিহাস জানাতে ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর এখন দিনাজপুরের পার্বতীপুর রেলওয়ে স্টেশনে অবস্থান করছে। বৃহস্পতিবার বিকালে এখানে ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘরটি অবস্থান করে এবং ২০ ফেব্রুয়ারি এটি ফুলবাড়ীর উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। এর আগে গত বছরের ২৭ এপ্রিল ঢাকার কমলাপুর স্টেশনে ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘরটির উদ্বোধন করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পার্বতীপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার রফিকুল ইসলাম। বগিতে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর পার্বতীপুরে অবস্থানের পর শিক্ষার্থীসহ সব বয়সী মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বৃহস্পতিবার বিকালে স্কুল ছুটির পর প্রধান শিক্ষক জামিল আহম্মেদসহ ৫ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী এসেছেন পার্বতীপুর রেল স্টেশনের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘরে। গতকালও ভিড় লক্ষণীয় ছিল। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সুন্দর ও পরিপাটি করে সাজানো বগিতে বঙ্গবন্ধুর ছবি সংবলিত মুজিব শতবর্ষেও লোগো, বঙ্গবন্ধুর জীবন-আন্দোলন, সংগ্রামকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ভিডিওর মাধ্যমে। বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত চশমা, দলীয় প্রতীক নৌকা, মুজিব শতবর্ষের লোগো, মুজিবনগর স্মৃতিস্তম্ভ, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, পাকিস্তানী বাহিনী আত্মসমর্পণের ছবি, জাতীয় স্মৃতিসৌধ, বঙ্গবন্ধুর টুঙ্গিপাড়ার বাবার বাড়ি, জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ, তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ছবি স্থান পেয়েছে ইত্যাদি। ‘জয় বাংলা’ সেøাগানের আদলে তৈরি করা হয়েছে সৃজনশীল একটি বুক সেলফ। সেখানে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী, আমার দেখা নয়াচীনসহ তাঁর কর্মময় জীবনের ওপরে রচিত গুরুত্বপূর্ণ বই ও বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লেখা বই শেখ মুজিব আমার পিতা।

এ জাদুঘরে ১৯২০ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত ১২টি গ্যালারির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘরের দায়িত্বে- থাকা রানা মাহমুদ রাজু বলেন, ১৬ ফেব্রুয়ারি বিকাল থেকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে নির্মিত বঙ্গবন্ধু ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘরটি দর্শনার্থীদের জন্য পার্বতীপুর রেলওয়ে স্টেশনের দক্ষিণে ওয়াশফিট ইয়ার্ড প্ল্যাটফরমে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। চলবে রবিবার পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা এবং বিকাল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত জাদুঘরটি সবার জন্য খোলা থাকবে। অ্যাফেক রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক জামিল আহম্মেদ সাংবাদিকদের জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘরে এসে তাঁর ব্যবহার্য জিনিসপত্রসহ বিভিন্ন বিষয়ে বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করলাম। এতদিন বইয়ে বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন কর্মকান্ড সম্পর্কে পড়েছি। পার্বতীপুর রেলওয়ে থানার ওসি মো. নুরুল ইসলাম জানান, রেলওয়ে থানার পুলিশ ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘরটির নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছেন।  পার্বতীপুর রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার রফিকুল ইসলাম জানান, এটি রেলপথ মন্ত্রণালয়ের একটি বিশেষ উদ্যোগ। এর মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম দেশের সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে জানবে। তাদের মধ্যে দেশকে নিয়ে আরও জানার আগ্রহ বাড়বে।

সর্বশেষ খবর