বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

পাবনায় পুকুর খননে কমছে কৃষিজমি

পাবনা প্রতিনিধি

পাবনায় পুকুর খননে কমছে কৃষিজমি

পাবনার ফরিদপুরে আবাদি জমিতে একর পর এক চলছে পুকুর খনন। খননকৃত মাটি প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে ইটভাটাসহ বিভিন্ন স্থানে। অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খননের ফলে এ উপজেলায় আশঙ্কাজনক হারে কমছে কৃষি জমি। অবাধে পুকুর খনন বন্ধ না হলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টিসহ পরিবেশে ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ারও আশঙ্কা করছেন কৃষি সংশ্লিষ্টরা।

সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের চিথুলিয়া পশ্চিমপাড়ায় এস্কেভেটর (ভেকু) দিয়ে প্রায় তিন বিঘা আবাদি জমির মাটি কেটে পুকুর খনন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে কিছু অংশ খনন করে ফেলেছে। সেখানে কয়েকটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলি দিয়ে মাটি বহন করা হচ্ছে। মাটি যাচ্ছে ইটভাটাসহ বিভিন্ন স্থানে। মাটিবোঝাই ট্রলি চলাচল করায় ভেঙে যাচ্ছে গ্রামীণ রাস্তা। ধুলোবালিতে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। প্রতি গাড়ি মাটি বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৫০০-৬০০ টাকায়। গাড়িগুলো যারা চালাচ্ছেন তাদের অধিকাংশের বয়সই ১৫ থেকে ২০-এর মধ্যে। এদের নেই কোনো ড্রাইভিং লাইসেন্স বা গাড়ি চালানোর বৈধ কাগজপত্র। জানা যায়, চিথুলিয়া গ্রামের আজিজল হকের ছেলে ধলা মোল্লা ও আ. সরদারের ছেলে মমিন মোল্লা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই আবাদি জমির মাটি কেটে পুকুর খনন করছেন। এ ছাড়া একই ইউনিয়নের বেরহাউলিয়া উত্তরপাড়া এলাকা থেকে মাটি ব্যবসায়ীরা আবাদি জমি কেটে বিক্রি করছেন মাটি। মমিন মোল্লা বলেন, পুকুর খননের জন্য আবেদন করেছি। অনুমতি পেয়েছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি সদুত্তর দিতে পারেননি। ফরিদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. শিরিন সুলতানা বলেন, শিগগিরই পুকুর খননে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিন ফসলি জমি নষ্ট এবং কোনো প্রকল্প নেওয়া যাবে না। এ বিষয়ে কোর্টের নির্দেশনা রয়েছে। পুকুর খনন বন্ধে সবাইকে একযোগে এগিয়ে আসতে হবে।

সর্বশেষ খবর