জনবহুল স্থান, বিয়েবাড়ি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সামনে অবস্থান করে দুর্বল লক থাকা মোটরসাইকেল অথবা যেসব মোটরসাইকেলে অতিরিক্ত লক বা তালা থাকে না সেগুলো এক মিনিটেই ‘মাস্টার কি’ দিয়ে লক খুলে নিজেরাই মোটরসাইকেল চালিয়ে নিয়ে যেত। তারপর সেগুলো বিক্রি করা হতো। সম্প্রতি জয়পুরহাট শহরে সার্কিট হাউস মাঠে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলাকালে এক ব্যক্তির মোটরসাইকেল চুরি হয়। এরপর বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ছয়টি চোরাই মোটরসাইকেলসহ সংঘবদ্ধ চোর চক্রের ছয় সদস্যদকে গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। নিজ কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে প্রেস ব্রিফ্রিং করে এসব তথ্য জানান জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম। গ্রেফতারকৃত চোর চক্রের সদস্যরা হলেন- তাওসিব হাসান, রবিউল ইসলাম, সোহানুর রহমান সোহান, শামীম হোসেন, মিম হোসেন, আলফার হোসেন। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম জানান, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টায় সার্কিট হাউস মাঠে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে থেকে একটি ১৫০ সিসি মোটরসাইকেল চুরি হয়। এ ঘটনায় গত ১ মার্চ জয়পুরহাট সদর থানায় মামলা করেন মোটরসাইকেলের মালিক রাশেদ। এরপর পুলিশ চোর চক্রের সদস্য রবিউলকে গ্রেফতার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যে ছয়টি চোরাই মোটরসাইকেলসহ আন্তজেলা চোর চক্রের আরও পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি আরও জানান, মোটরসাইকেল চুরিতে দুটি মাস্টার কি ব্যবহার করতেন তারা। ওই মাস্টার কি দিয়ে এক মিনিটেই মোটরসাইকেল চুরি করে পালিয়ে যেতেন।
