রবিবার, ১২ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

৬ কিলোমিটার সড়ক ৪০ গ্রামের দুর্ভোগ

মেহেরপুর প্রতিনিধি

৬ কিলোমিটার সড়ক ৪০ গ্রামের দুর্ভোগ

ছয় মাস ধরে বন্ধ সড়ক সংস্কার কাজ। খানাখন্দে ভরা রাস্তায় ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। সড়কের ধুলায় নষ্ট হচ্ছে আশপাশের দোকানের মালামাল ও বসতবাড়ির আসবাবপত্র। মেহেরপুরের গাংনী থেকে তোলা ছবি -বাংলাদেশ প্রতিদিন

মেহেরপুরের গাংনীতে ছয় কিলোমিটার সড়ক ৪০টি গ্রামের মানুষের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সড়কটির অর্ধেক কাজ সম্পন্ন করে ছয় মাস ধরে ফেলে রেখেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের মেসার্স সৈকত এন্টারপ্রাইজ। এতে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে সড়কটি। গাংনী উপজেলা এলজিইডির দাবি, বারবার তাগাদা দেওয়ার পরও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি রাস্তার কাজ শেষ করছে না। গাংনী উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বছর মার্চে বামন্দী-কাজিপুর আলিক সড়কের ৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে ছয় কিলোমিটার সংস্কার কাজ শুরু হয়। রাস্তাটির খনন, বালু ভরাট ও খোয়া ফেলে অর্ধেক কাজ শেষ হয়েছে। এরপর মাস ছয়েক আগে তারা (ঠিকাদার) কাজটি বন্ধ করে দেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, গাংনী ও পার্শ্ববর্তী কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের ৪০ গ্রামের লোকজনের ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ দূর-দূরান্তে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এই রাস্তা। রাস্তাটির কাজ বন্ধ হওয়ায় শিক্ষা ও ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। যানবাহন চলাচল করছে ঝুঁকি নিয়ে। রাস্তার ধুলাবালি পরিবেশ দুর্বিষহ করে তুলেছে। বামন্দী বাজারের গরু ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন জানান, আগে রাস্তাটি খাদাখন্দে ভরা ছিল। সে সময় গরু বহনের জন্য ২০০ টাকার স্থলে লাগত ৩০০ টাকা। এখন রাস্তার অবস্থা এতই করুণ যে, কোনো গাড়ি আসতে চায় না। আসলেও প্রতিটি গরুর জন্য ভাড়া গুনতে হয় ৫০০ টাকা। বালিয়াঘাট বাজারের মুদি ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন জানান, রাস্তার ধুলাবালিতে দোকানের মালামাল নষ্ট হচ্ছে। ধুলার কারণে এখানে আর কেউ আসছেন না। ফলে বিক্রিও নেই। হাড়াভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, রাস্তা খারাপ হওয়ার কারণে কোনো যানবাহন পাওয়া যায় না। হেঁটে স্কুলে আসার সময় ধুলায় পোশাক নষ্ট হয়। পোশাকের কারণে অনেক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে নিয়মিত আসতে পারছে না। এ ছাড়া রাস্তার ধুলায় শিক্ষার্থীসহ অনেকে শ্বাসকষ্টসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। গাংনী উপজেলা প্রকৌশলী ফয়সাল আহমেদ জানান, কাজটি অর্ধেকের বেশি সম্পন্ন হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ সমাপ্ত করার জন্য কয়েকবার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা এ বিষয়ে কথা বলবে না বলে জানিয়েছে। 

সর্বশেষ খবর