শুক্রবার, ২৪ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

নানা সমস্যায় বুড়িমারী স্থলবন্দর

লেগে থাকে যানজট ॥ চলাচলে দুর্ভোগ

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

নানা সমস্যায় বুড়িমারী স্থলবন্দর

স্থলবন্দর সড়কে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন -বাংলাদেশ প্রতিদিন

লালমনিরহাটের পাটগ্রামে অবস্থিত বুড়িমারী বন্দর নানা সমস্যায় জর্জরিত। বন্দরের একমাত্র সড়কটি দুই লেনের হওয়ায় প্রতিনিয়তই লেগে থাকে যানজট। ইয়ার্ডে জায়গা সংকটের কারণে সাধারণ মানুষের চলাচলে বেড়েছে দুর্ভোগ।

ভারত, ভুটান এবং নেপালের সঙ্গে স্থলপথে মালামাল আমদানি-রপ্তানি সুবিধার জন্য বুড়িমারী এলাকার জিরো পয়েন্টে ১৯৮৮ সালে এ বন্দর চালু হয়। প্রতিদিন বাংলাদেশ ও ভারতের শত শত ট্রাক আর কয়েক হাজার যাত্রী এ বন্দর ব্যবহার করেন। বুড়িমারী দিয়ে ভারত ও ভুটানের সঙ্গে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানি যত বাড়ছে, ততই বাড়ছে যানবাহনের চাপ। ফলে প্রতিদিন সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট, ঘটছে দুর্ঘটনা। ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন পাসপোর্টধারী যাত্রী, পর্যটক ও সাধারণ মানুষ। স্থলবন্দরের ধারণ ক্ষমতা কম হওয়ায় বিপাকে পড়েছে সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ীরা। এ সমস্যা সমাধানে কয়েক বছর আগে জিরোপয়েন্ট থেকে বুড়িমারী বাজার পর্যন্ত আঞ্চলিক মহাসড়কের ১০ কিলোমিটার চার লেনে উন্নীত করার উদ্যোগ নেয় সরকার। আহ্বান করে দরপত্র। প্রকল্পে অর্থায়ন করার কথা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি)। এডিবির বিশেষজ্ঞ দল সমীক্ষা কার্যক্রম শেষ করেছে। প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৯ কোটি টাকা। কিন্তু কাজ আর শুরু হয়নি। কবে শুরু হবে সে বিষয়েও কেউ সঠিক তথ্য দিতে পারেনি। লালমনিহাট সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সূত্র জানায়, রাজধানী থেকে বুড়িমারী স্থলবন্দর পর্যন্ত চার লেন মহাসড়ক নির্মাণ কাজের দ্বিতীয় পর্যায় চলমান আছে। এ কাজের সঙ্গেই স্থলবন্দর থেকে রংপুর শহর পর্যন্ত সড়ক চার লেনে উন্নীত করা হবে। বুড়িমারী স্থলবন্দরের বাসিন্দা বাদল ও জবিউল ইসলাম বলেন, এখানকার রাস্তাঘাটের যে অবস্থা- একটি গাড়ি দাঁড়ালে আরেকটা গাড়ি যাওয়ার উপায় নেই। সরকার বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব পায় তার পরও এ রাস্তার বেহালদশা। বুড়িমারী সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের দফতর সম্পাদক বকুল হোসেন বলেন, স্থলবন্দরে ইয়ার্ডের জায়গা সংকট ও মহাসড়কের রাস্তা প্রশস্ত না থাকায় প্রতিদিন যানজট সৃষ্টি হয়। বন্দরের দুই পাশে বাইপাস সড়ক চালু করলে যানজট থাকবে না। তখন ব্যবসা-বাণিজ্যের আরও প্রসার ঘটবে।

সওজ বিভাগ লালমনিরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী খালিদ সাইফুল্লাহ সরদার বলেন, রংপুর থেকে বুড়িমারী বন্দর পর্যন্ত চার লেনের কাজ সাউথ এশিয়া সাব-রিজিওনাল ইকোনমিক কোঅপারেশন (সাসেক) প্রকল্পের অধীনে হবে। এটি আমাদের হেড অফিস দেখাশোনা করে। তিনি আরও বলেন, ঢাকা-এলেঙ্গা-রংপুর শহরের চার লেনের কাজ চলমান রয়েছে তা সম্পন্ন হলেই ওই ঠিকাদাররা রংপুর-বুড়িমারী স্থলবন্দরের কাজ শুরু করবেন। বুড়িমারী বন্দরের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) গিয়াস উদ্দিন বলেন, বন্দরের পাশে কয়েক শ একর জায়গা নিয়ে নতুন ইয়ার্ড নির্মাণ কাজ অনুমোদন হয়েছে। এ কাজ সম্পন্ন হলে আর সংকট থাকবে না।

সর্বশেষ খবর