বৃহস্পতিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

তিন বছরের প্রকল্প শেষ হয়নি পাঁচ বছরেও

নগরবাড়ী আধুনিক নৌবন্দর নির্মাণ

পাবনা প্রতিনিধি

তিন বছরের প্রকল্প শেষ হয়নি পাঁচ বছরেও

নানা জটিলতায় মেয়াদ ও ব্যয় বাড়িয়েও শেষ হয়নি পাবনার নগরবাড়ী আধুনিক নৌবন্দর নির্মাণ কাজ। তিন বছরের প্রকল্প শেষ হয়নি পাঁচ বছরেও। নির্মাণ কাজে ধীরগতিতে পণ্য খালাস ও পরিবহন ব্যাহত হওয়ায় লোকসানে পড়েছেন ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা। নগরবাড়ী বন্দর কর্মকর্তা ওয়াকিল আহমেদ জানান, চট্টগ্রাম ও মোংলা থেকে পণ্যবাহী জাহাজে আমদানির পর পাবনার নগরবাড়ী থেকে উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় কয়লা, সার, পাথরসহ বিভিন্ন পণ্য সরবরাহ করেন ব্যবসায়ীরা। অর্থনৈতিক গুরুত্ব বিবেচনায় পরিবহন সুবিধা বাড়াতে ২০১৮ সালে ৫১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে এখানে আন্তর্জাতিক মানের আধুনিক নৌবন্দর নির্মাণ শুরু করে সরকার। তিন বছর মেয়াদি এ প্রকল্প ২০২১ সালে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ভূমি অধিগ্রহণে জটিলতা ও করোনা সংকটে প্রায় এক বছর কাজ বন্ধ থাকায় তা সম্ভব হয়নি। পরে প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে বরাদ্দ দেওয়া হয় অতিরিক্ত ৪০ কোটি টাকা। পুনর্নির্ধারিত মেয়াদেও কাজ শেষ না হওয়ায় সম্প্রতি প্রকল্পের মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়ানোর আবেদন করেছে অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপ (বিআইডাব্লিউটিএ)। ঘাট এলাকার আমদানিকারক নওয়াপাড়া গ্রুপের প্রতিনিধি আরমান হোসেন বলেন, আমাদের সার চট্টগ্রাম বন্দর থেকে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহের জন্য নগরবাড়ী ঘাটে নিয়ে আসা হয়। এখানে নির্মাণ কাজ চলতে থাকায় এবং নদীতে পর্যাপ্ত নাব্য না থাকায় বেশিরভাগ পণ্য যশোরের নওয়াপাড়া ঘাটে আনলোড করা হ"েছ। নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় এ বন্দরে বড় জাহাজ নিয়ে এসে পণ্য খালাস করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ¯'ানীয় ব্যবসায়ী প্রতিনিধি রাজিব হোসেন বলেন, নগরবাড়ী বন্দর থেকে উত্তরবঙ্গের প্রতিটি জেলায় সার, কয়লা, পাথর ও অন্য আমদানি পণ্য সরবরাহ করা অনেক সহজ। বন্দর আধুনিকায়ন কাজ ধীরগতিতে চলায় পণ্য খালাস ব্যাহত হ"েছ। নগরবাড়ী ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এ কে এম রফিকউল্লাহ বলেন, স্বাভাবিকভাবে নগরবাড়ী নৌবন্দর দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ২০ কোটি টাকার পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়ে থাকে। বন্দর আধুনিকায়ন কাজ শুরু হওয়ায় তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের স্বাভাবিক অবস্থায় নেই। সম্প্রতি কাজ পরিদর্শনে আসেন বিআইডাব্লিউটিএ চেয়ারম্যানসহ ঊর্ধ্ধতন কর্তৃপক্ষ। তারা জানান, নির্মাণ কাজ ও আমদানি একই সঙ্গে চলমান থাকায় ধীরগতিতে হলেও প্রায় ৬০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে বন্দরের কার্যক্রম পুরোপুরি শুরুর আশা বিআইডব্লিইটিএর। প্রকল্প পরিচালক মহিদুল ইসলাম জানান, আবারও সময় বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর