শনিবার, ৬ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

বিশুদ্ধ পানি সংকটে হবিগঞ্জবাসী

জাকারিয়া চৌধুরী, হবিগঞ্জ

বিশুদ্ধ পানি সংকটে হবিগঞ্জবাসী

দূরের গ্রাম থেকে পানি সংগ্রহ করছেন চুনারুঘাটের এক বাসিন্দা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

হবিগঞ্জ শহরসহ জেলাজুড়ে বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এতে দৈনন্দিন কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে।  কিছুদিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় তীব্র গরমে বাড়ছে বিশুদ্ধ পানির হাহাকার। স্থানীয়রা মনে করছেন জেলার অধিকাংশ খালবিল ও নদনদী ভরাট হয়ে যাওয়ায় শুকিয়ে যায়। ফলে সংকট আরও তীব্র হয়ে ওঠে। জানা যায়, চৈত্রের শুরু থেকেই হবিগঞ্জ শহরসহ আশপাশ উপজেলায় অধিকাংশ মোটর কিংবা টিউবওয়েলে পানি ওঠা বন্ধ হয়ে যায়। যে কারণে প্রতি বছর শুষ্ক মৌসুমে তীব্র সংকট দেখা দেয় বিশুদ্ধ পানির। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। হবিগঞ্জ জেলা শহর ছাড়াও চুনারুঘাট, শায়েস্তাগঞ্জ, বাহুবল, মাধবপুর, নবীগঞ্জ, বানিয়াচংসহ বিভিন্ন উপজেলার চিত্র একই। কোনো কোনো গ্রামে ১০-১৫টি গভীর নলকূপ বা টিউবওয়েল থাকলেও পানি উঠছে মাত্র এক-দুটি থেকে। সরেজমিনে চুনারুঘাটের একটি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ওই এলাকার একটিমাত্র টিউবওয়েল থেকে পানি পাওয়া যাচ্ছে। দূরদূরান্ত থেকে মানুষ কলস-বালতি নিয়ে প্রতিদিন ওই টিউবওয়েল থেকে পানি সংগ্রহ করতে ভিড় করছে। শুধু বড়বাড়ি গ্রামই নয়, বানিয়াচং উপজেলার মুরাদপুর, তালিবপুর, আজমিরীগঞ্জ উপজেলার শিবপাশা, আনন্দপুর ও নবীগঞ্জ উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা, আউশকান্দিসহ আশপাশ এলাকাগুলোরও একই চিত্র। স্থানীয় অধিকাংশ বাসিন্দা জানান, বর্তমানে হাওরের বোরো জমি পুরোপুরি ভূগর্ভস্থ পানির সেচনির্ভর হয়ে পড়েছে। এ কারণে ভূগর্ভস্থ পানিতে টান পড়ায় তীব্র সংকট দেখা দেয়। এখনই এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নজর না দিলে আগামীতে বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। জেলার নদনদী ও খালবিল খননেরও দাবি জানান তারা। হবিগঞ্জ শহরের অনন্তপুরের গৃহিণী আসমা বলেন, চৈত্রের শুরু থেকেই মোটর দিয়ে কম পানি আসছে। আগে আধা ঘণ্টা মোটর চালালে ট্যাংকি ভরে যেত এখন চালাতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। তবু পানি উঠছে না। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর, হবিগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী তাহমিনা তানভিন বলেন, ‘পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়াসহ নানা কারণে এ সংকট তৈরি হচ্ছে। সাধারণ মানুষ যাতে দুর্ভোগে না পড়ে সেজন্য আমাদের কর্মকর্তারা কাজ করছেন।’

সর্বশেষ খবর