লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় ৭ বছরের শিশুকে বাড়িতে ডেকে এনে চকলেটের লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ করেন প্রতিবেশী জ্যাঠা জহুরুল ইসলাম ওরফে হলদি (৫০)। এ ঘটনার পর অভিযুক্ত জহুরুল পালিয়ে গেছেন। আদিতমারী থানা পুলিশ রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়। গতকাল বিকাল ৩টায় নির্যাতিত শিশুর মা হোসনে আরা আদিতমারী থানায় অভিযুক্ত জহুরুল ইসলাম ওরফে হলদির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক।
গত রবিবার সন্ধ্যায় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে নির্যাতিত শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে আদিতমারী থানা পুলিশ। পলাতক জহুরুল ইসলাম উপজেলার পলাশী ইউনিয়নের টুরুর বাজার এলাকার মৃত আজগার আলীর ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, স্ত্রীর মৃত্যুর পর বাড়িতে একা থাকেন জহুরুল হক ওরফে হলদি। বিস্কুট, চকলেট দেওয়ার প্রলোভনে মাঝেমধ্যে প্রতিবেশী এক ভাতিজীকে (৭) ডেকে নিয়ে বাড়ি পরিষ্কার করান তিনি। এমনিভাবে রবিবার বিস্কুট দেওয়ার কথা বলে ওই ভাতিজীকে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন জহুরুল। পরে শিশুটির আর্তচিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এলে পালিয়ে যান জহুরুল। স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশি সহায়তায় আদিতমারী থানার ওসি মোজাম্মেল হক নিজে গিয়ে নির্যাতিত শিশুকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক বলেন, শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে নিজ গাড়িতে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছি। এ ঘটনায় শিশুটির মা একটি অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। শিশুটি এখনো পুরোপুরি শঙ্কামুক্ত নয়।