শনিবার, ৩ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

অসময়ে ব্রহ্মপুত্রে ভাঙন বিলীন অর্ধশত বসতভিটা

খন্দকার একরামুল হক সম্রাট, কুড়িগ্রাম

অসময়ে ব্রহ্মপুত্রে ভাঙন বিলীন অর্ধশত বসতভিটা

ভাঙনের মুখে কমিউনিটি ক্লিনিক ভবন -বাংলাদেশ প্রতিদিন

বন্যাপ্রবণ জেলা কুড়িগ্রাম। ছোটবড় ১৬টি নদ-নদী বেষ্টিত এ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে গেছে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও তিস্তা। নাব্য সংকটের কারণে সামান্য বৃষ্টি কিংবা উজানের ঢলে নদীগুলো উপচে দেখা দেয় বন্যা। কোনো কোনো বছর কুড়িগ্রামে ৪-৫ দফা বন্যা হয়। পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় নদীভাঙন। এবার বন্যা শুরুর আগেই অসময়ে ব্রহ্মপুত্র নদে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সদর উপজেলার কয়েকটি এলাকায় ভাঙন চলছে। এসব এলাকার অর্ধশতাধিক বসতভিটা ইতোমধ্যে নদীতে বিলীন হয়েছে। চরভগবতীপুর এলাকায় ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্য প্রকল্প সমন্বয়কারী রাশেদুল ইসলাম বলেন, ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে অনেক জমি ও বাড়ি নদীগর্ভে চলে গেছে। আমাদের কমিউনিটি ক্লিনিকও ভাঙনের মুখে রয়েছে। যে কোনো সময়ে এটি নদীতে হারিয়ে যাবে। সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, অনেক চেষ্টা করেও ক্লিনিকটি রক্ষা করা যাচ্ছে না। যাত্রাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল গফুর মিয়া বলেন, নদীভাঙনে চরভগবতীপুরের প্রায় ৩৬টি বসতভিটা বিলীন হয়েছে। মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছেন। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেদুল হাসান জানান, ব্রহ্মপুত্র নদ অসময়ে ভাঙছে যা খুবই কষ্টদায়ক। মানুষের বসতি, স্থাপনা ও চরভগবতীপুর বিদ্যালয়সহ ফসলি জমি নদীতে বিলীন হচ্ছে। পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ভাঙন প্রতিরোধে সাড়ে ৭ কোটি টাকার প্রকল্পের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

সর্বশেষ খবর