পর্যটক আসতে শুরু করেছে কক্সবাজারে। খুলেছে দোকানপাট, গতি ফিরেছে ব্যবসাবাণিজ্যে। সেনাবাহিনীর নিরাপত্তায় সবকিছুর গতি এসেছে বলে মনে করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। কক্সবাজার হোটেল-গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর কিছু চিহ্নিত ব্যক্তি হোটেল ভাঙচুর ও চাঁদাবাজি করেছে। সেনাবাহিনীর নজরদারিতে বর্তমানে ব্যবসাবাণিজ্যে নিরাপদ পরিবেশ ফিরে এসেছে। রবিবার সকাল ৯টায় শহরের ব্যস্ততম কলাতলী ডলফিন মোড়ে দেখা গেছে, কয়েকজন ছাত্রছাত্রী যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছেন। যানজটপ্রবণ মোড়টিতে সুশৃঙ্খলভাবে চলছে সব ধরনের যানবাহন। সকাল ১০টার দিকে শহরের বড়বাজারে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা বাজারে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে নজরদারি করছেন। এ সময় তারা মাইকিং করে ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলছেন, প্রভাবশালী যেই হোক, কাউকে আপনারা চাঁদা দেবেন না। মাছ-মাংস, সবজির অতিরিক্ত মূল্য নেবেন না। একজনের জায়গা আরেকজন দখল করবেন না। আপনাদের সঙ্গে ছাত্ররা রয়েছেন, আছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
বেলা ৩টার দিকে শহরের প্রধান সড়কের ঘুনগাছ তলায় কক্সবাজার স্কাউটসের কয়েকজন তরুণ-তরুণীকে যান নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। এ সময় পাশের সড়কের দেয়ালে বিভিন্ন স্লোগান সংবলিত গ্রাফিতি আঁকতে দেখা যায় রামু ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে। শহরের বাহারছড়া বাজার, বিমানবন্দর সড়কের কানাইয়ার বাজার, টেকপাড়া, কালুরদোকান, বাস টার্মিনাল ও লিংকরোড বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি বাজারেই মূল্যতালিকা টাঙানো। সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় শিক্ষার্থীরা এই তালিকা টাঙিয়েছেন।
সেনাবাহিনীর পক্ষে কক্সবাজারে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লে. কর্নেল তানভীর হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, কক্সবাজার বাংলাদেশের সম্পদ। এখন থেকে পর্যটকরা এখানে নিরাপদে ভ্রমণ করবেন।