শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করেছেন রংপুর জেলা বসুন্ধরা শুভসংঘের বন্ধুরা। গতকাল দুপুরে তারা শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করেন। গত ১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের সময় বেরোবির ১ নম্বর গেটের সামনে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ।
দেশের শীর্ষ শিল্পপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ ‘দেশ ও মানুষের কল্যাণে’ স্লোগান ধারণ করে কাজ করে যাচ্ছে দেশের জন্য। বসুন্ধরা গ্রুপের মানবিক সহায়তা সংগঠন বসুন্ধরা শুভসংঘ। শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের সময় উপস্থিত ছিলেন শহীদ আবু সাঈদের পিতা মকবুল হোসেন, বড় ভাই রমজান আলী, আবু হোসেন, বসুন্ধরা শুভসংঘের রংপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তানজিম হাসান, অর্থ সম্পাদক সোহাগ কুমার দাশ, দপ্তর সম্পাদক আসাদুজ্জামান, বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুলের সমন্বয়ক গোলজার রহমান প্রমুখ।
কবর জিয়ারত শেষে বসুন্ধরা শুভসংঘের বন্ধুদের সঙ্গে আবু সাঈদের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বড় ভাই আবু হোসেন বলেন, আমার ছোটভাই আবু সাঈদকে আমি খুব বেশি ভালোবাসতাম। আমি বয়সে ওর এক বছরের বড় হলেও আমাদের বেড়ে ওঠা ছিল একসঙ্গেই। ও ছিল আমার খেলার সাথি। আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে আমরা অনেক সংগ্রাম করে বড় হয়েছি। পড়াশোনার পাশাপাশি মাঠে কাজ করতাম আমরা একসঙ্গে। আবু সাঈদ অনেক মেধাবী ছিল। জাফরপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে আবু সাঈদ ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে।
আবু হোসেন বলেন, হাজারো স্মৃতি আছে আমাদের। চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে আমি প্রথম সন্তানের পিতা হই। সে সময় আমি ঢাকায় গার্মেন্টে চাকরি করতাম। আমার স্ত্রীর পাশে আমি থাকতে না পারলেও ছোট ভাই হিসেবে আবু সাঈদ আমার স্ত্রীর পাশে ছিল। সাঈদ এখন বেঁচে নেইথ- এ কথা আমি ভাবতেই পারি না। আল্লাহ তাকে বেহেশতবাসী করুক।