পঞ্চগড় জেলার বিভিন্ন উপজেলার গ্রামীণ সড়ক-মহাসড়কের পাশেই বালু স্তূপাকারে রেখে চলছে ব্যবসা। এতে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা, স্বাস্থ্যঝুঁকি। ছড়াচ্ছে রোগজীবাণু। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব বালুর স্তূপ থেকে বাতাসে প্রতিনিয়ত ছড়িয়ে পড়ছে ধূলিকণা। এতে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে, সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে। বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনাও ঘটেছে। এখান দিয়ে চলাচল করা সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে, ছড়িয়ে পড়ছে ধুলাবালুজনিত রোগ। স্থানীয়রা জানান, পঞ্চগড়ের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া বেশ কিছু নদী থেকে বালু তুলে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়। রাস্তাঘাট, ভবন নির্মাণসহ নানান কাজে এসব বালু ব্যবহার করা হয়। প্রতিদিন প্রায় দুই হাজার ট্রাকে এসব বালু পরিবহন করা হয়। নদী থেকে বালু তুলে শ্রমিকরা নদীর পাড়ে স্তূপ করে রাখেন। সেখান থেকে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ট্রলিতে বালু সড়ক বা মহাসড়কের পাশে স্তূপ করেন। পরে বিভিন্ন স্থানে নেওয়ার উদ্দেশ্যে সড়ক-মহাসড়কের ওপরেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা ট্রাক দাঁড় করিয়ে বালু লোড করা হয়। এতে সাধারণ মানুষ এবং পরিবহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। ঢাকা-বাংলাবান্ধা মহাসড়কটি এশিয়ান হাইওয়ে নামেও পরিচিত। এটি জেলার প্রধান এবং ব্যস্ত মহাসড়ক। এ সড়কের ওপর দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। সড়ক দিয়ে স্কুল, কলেজ, মাদরাসাগামী শিক্ষার্থী, কৃষক এবং পথচারীরা প্রতিনিয়ত চলাচল করে। কিন্তু এ মহাসড়কের বিভিন্ন স্থান দখল করে প্রভাবশালীরা বালু রেখে ব্যবসা করছেন। এই মহাসড়কের জগদল, অমরখানা, ভজনপুর, বাংলাবান্ধা এলাকায় বালুর স্তূপ করে ব্যবসা চালানো হচ্ছে। ভজনপুর-মীরগড় সড়ক, ভজনপুর শীবচণ্ডী সড়ক, পঞ্চগড়-মাড়েয়া-দেবীগঞ্জ সড়ক, পঞ্চগড়-মডেল হাট সড়ক, পঞ্চগড়-তালমা সড়কসহ গ্রামীণ বিভিন্ন সড়কের ওপরেই স্তূপ করে রেখে বালুর ব্যবসা চলছে। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মাহবুবুর রহমান জানান, এ জেলায় ধুলাবালুজনিত নানা রোগ বিশেষ করে অ্যাজমা, শ্বাসকষ্ট বেড়েছে। রাস্তার পাশেই বালু স্তূপ করে রাখায় বাতাসে ধূলিকণা উড়ছে। যা নিঃশ্বাসের মাধ্যমে মানুষের নাকে ঢুকছে। ব্যবসায়ী নেতা আব্দুল জলিল বলেন, ‘বারবার অনুরোধ করা হয়। অনেকে শোনে, অনেকে শোনে না।’ সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা বারবার চিঠি দিচ্ছি ব্যবসায়ীদের। কিন্তু কোনো কাজ হয় না। পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইউসুফ আলী বলেন, এ ব্যপারে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য গত বছর লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছিল। এ বছরও স্থানীয় পরিবেশ কর্মী এবং সংগঠনকে নিয়ে এ কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে। জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলী জানান, এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
শিরোনাম
- দেশের রিজার্ভ বেড়ে ২৭ বিলিয়ন ডলার
- মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে
- ছাত্রলীগের নির্যাতনের সহযোগী শিক্ষক-কর্মকর্তার বিচারের দাবিতে ঢাবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ
- মিরাজের ঘূর্ণিতে তিনদিনেই জিতল বাংলাদেশ
- চিন্ময় দাসের জামিন স্থগিত
- প্রিপেইড গ্যাস মিটার নিয়ে প্রতারণা এড়াতে তিতাসের সতর্কবার্তা
- শিল্পীদের মেধাসম্পদ সংরক্ষণে কাজ করছে সরকার : শিল্প উপদেষ্টা
- সাবেক প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমেদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
- ১১৯তম প্রাইজ বন্ডের ড্র, প্রথম বিজয়ী নম্বর ০২৬৪২৫৫
- রাজধানীর উত্তরায় ঢাবির বাসে হামলা, গ্রেফতার ৫
- প্রথম আলোর বিরুদ্ধে মামলার আবেদনকারীকে হুমকির অভিযোগ
- এক ঠিকানায় মিলবে সব ‘নাগরিক সেবা’
- এনসিপি কোনো নির্বাচনি জোটে যাবে না : নাহিদ
- দেশে শ্রমিক সমাজ সবচেয়ে অবহেলিত : রিজভী
- কালকিনিতে হাতকড়াসহ পালানো আসামি গ্রেপ্তার
- চট্টগ্রামে দুই বন্ধুর ‘ইয়্যামেজিং’
- ১৪ পুলিশ সুপারকে বদলি
- শিশু আছিয়া ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিলেন তিন চিকিৎসক
- ‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার
- তরুণ প্রজন্মকে প্রকৃত রাজনীতি ও সমাজ ব্যবস্থায় ফিরতে হবে: এ্যানি