গাজীপুরে বিভিন্ন আশ্রয়ণ প্রকল্পে দুই শতাংশ জমিসহ দুই কক্ষের আধাপাকা ঘর পেয়েছেন ১ হাজার ৮৪৩টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার। প্রতি ঘরে আছে বিদ্যুৎ-সংযোগ, নলকূপ ও স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন। যেসব ভূমিহীন ঘর পেয়েছেন তাদের অনেকেই এখন সেখানে থাকেন না। স্থানীয়ভাবে কর্মসংস্থানের অভাবে চলে গেছেন অন্যত্র। যেসব পরিবার বসবাস করছেন তারাও কষ্টে আছেন। বলছেন, সরকার ঘর দিলেও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়নি। আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাছাকাছি শিশুদের জন্য বিদ্যালয় নেই। গাজীপুরের জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীন বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর খালি থাকার বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। ঘর ফাঁকা থাকলে যাদের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তারা যদি না থাকেন বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের রাজস্ব শাখার তথ্য অনুযায়ী, জেলার পাঁচটি উপজেলা ও টঙ্গী এলাকায় ৫ ধাপে ১ হাজার ৮৪৩টি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে ২৪২টি ঘর ফাঁকা পড়ে আছে। এ ছাড়া কালিয়াকৈর উপজেলায় বছর যেতেই বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের অনেক ঘর। নেই কর্মসংস্থান ও শিশুদের লেখাপড়ার ব্যবস্থা। অবৈধভাবে দখল হয়ে গেছে ২৮টি ঘর। গাজীপুর শহরের ফাওকাল আশ্রয়ণ প্রকল্পে দেখা যায়, এখানে ২৯টি পরিবারের প্রায় ১৭০ জন মানুষ বসবাস করছেন। কথা হয় বসবাসকারী জসিম উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি সরকারি ঘরে স্ত্রী, দুই ছেলে এক মেয়ে নিয়ে বসবাস করছেন। জসিম জানান, এখানে আশপাশে কোনো কাজ নেই। একই আশ্রয়ণ কেন্দ্রের উত্তম কুমার বলেন, এখানে কর্ম নেই। নেই কোনো গোরস্থান বা শ্মশান। এখানকার দুজন বাসিন্দা মারা গেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে দাফন করা হয়। ১১ নম্বর ঘরের বাসিন্দা রুমানা আক্তার জানান, ২০২১ সালে ঘর পাওয়ার ২-৩ মাস পরই ফাটল ধরে। নিম্নমানের নির্মাণ কাজের জন্য এমন হয়েছে, দাবি তার। বলেন, ঘরের পিলার, দেয়াল ফেটে যাওয়ায় সব সময় আতঙ্কে থাকেন। ভাওয়াল গাজীপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা রনজু মিয়া বলেন, দেড় বছর আগে স্ত্রী, দুই মেয়ে, এক ছেলে নিয়ে এখানে আসেন। এখানে পানি ও রাস্তাঘাটের সমস্যার কারণে অনেক কষ্ট পাচ্ছেন তারা। পাশের ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ঘরে কেউ থাকেন না জানান তিনি। রনজু বলেন- তারা তিন ভাই ঘর পেয়ে আর এসব বাড়িতে ওঠেননি। শুনেছি পোড়াবাড়ি এলাকায় থাকেন। কিশোরগঞ্জের মোর্শেদ মিয়া ২০২২ সালের ২১ জুলাই গাজীপুর গ্রামে একটি ঘর পান। স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে এখানে আসেন। এখানে কোনো কাজ নেই উল্লেখ করে মোর্শেদ জানান, ১৭, ২১ ও ২৩ নম্বর ঘরে কেউ নেই। তাছাড়া ১৪টি ঘরে তালা মারা। ১৩ নম্বর ঘরের বাসিন্দা বিক্রমপুরের রিপন হোসেন জানান, এখানকার ১৫-১৬টি ঘরের লোকজন সপ্তাহে একদিন আসে কিছুক্ষণ পর আবার চলে যান। খালি ঘরে আবার লোক দিলে ভালো হতো। এখানে আসা-যাওয়ার ভালো রাস্তা নাই। প্রতিদিন গাজীপুর শহরে যেতে ২০০ টাকা খরচ হয়। নেই কোনো কবরস্থান। আশপাশে নেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ছেলে-মেয়ের পড়াশোনায় মারাত্মক সমস্যা হয়। আরেক বাসিন্দা হারুন জানান, ঘরের আস্তর ধসে পড়েছে। জঙ্গলের ভেতর দিয়ে এখানে আসতে হয়। অনেকে প্রায়ই ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন। একই অবস্থা জেলার অন্য আশ্রয়ণ প্রকল্পের।
শিরোনাম
- দেশের রিজার্ভ বেড়ে ২৭ বিলিয়ন ডলার
- মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে
- ছাত্রলীগের নির্যাতনের সহযোগী শিক্ষক-কর্মকর্তার বিচারের দাবিতে ঢাবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ
- মিরাজের ঘূর্ণিতে তিনদিনেই জিতল বাংলাদেশ
- চিন্ময় দাসের জামিন স্থগিত
- প্রিপেইড গ্যাস মিটার নিয়ে প্রতারণা এড়াতে তিতাসের সতর্কবার্তা
- শিল্পীদের মেধাসম্পদ সংরক্ষণে কাজ করছে সরকার : শিল্প উপদেষ্টা
- সাবেক প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমেদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
- ১১৯তম প্রাইজ বন্ডের ড্র, প্রথম বিজয়ী নম্বর ০২৬৪২৫৫
- রাজধানীর উত্তরায় ঢাবির বাসে হামলা, গ্রেফতার ৫
- প্রথম আলোর বিরুদ্ধে মামলার আবেদনকারীকে হুমকির অভিযোগ
- এক ঠিকানায় মিলবে সব ‘নাগরিক সেবা’
- এনসিপি কোনো নির্বাচনি জোটে যাবে না : নাহিদ
- দেশে শ্রমিক সমাজ সবচেয়ে অবহেলিত : রিজভী
- কালকিনিতে হাতকড়াসহ পালানো আসামি গ্রেপ্তার
- চট্টগ্রামে দুই বন্ধুর ‘ইয়্যামেজিং’
- ১৪ পুলিশ সুপারকে বদলি
- শিশু আছিয়া ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিলেন তিন চিকিৎসক
- ‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার
- তরুণ প্রজন্মকে প্রকৃত রাজনীতি ও সমাজ ব্যবস্থায় ফিরতে হবে: এ্যানি
ঘর ছাড়ছেন উপকারভোগীরা
আশ্রয়ণ প্রকল্প - বছর যেতেই বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে অনেক ঘর। নেই কর্মসংস্থান ও শিশুদের লেখাপড়ার ব্যবস্থা
খায়রুল ইসলাম, গাজীপুর
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর