ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ফেনী অংশের (শশর্দী থেকে মুহুরীগঞ্জ) দৈর্ঘ্য ২৭ কিলোমিটার। এ অংশে রয়েছে অনুমোদনহীন (অরক্ষিত) ১২টি এবং ২২টি অনুমোদিত লেভেল ক্রসিং রয়েছে। অরক্ষিত ক্রসিংয়ে অনেক সময় চালক ও পথচারীরা দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। গত মাসে ১০ দিনের ব্যবধানে ফেনীর গুদামকোয়াটার রেলগেট এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছেন দুজন। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, ফেনীর ২৭ কিলোমিটারে গত এক বছরে প্রাণহানি ঘটেছে ২৮ জনের। অবচেতন মনে হাঁটা, মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে রেললাইন পার হওয়া ট্রেনে কাটার অন্যতম কারণ বলছেন সংশ্লিষ্টরা। স্থানীয় গাড়িচালক জসিম উদ্দিন (৫৫) বলেন, কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে মানুষ রেলগেট পারাপারে ঝুঁকি নিয়ে থাকে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা বা সচেতন করা হলে অন্যরা ঝুঁকি নিয়ে পারাপারের বিষয়টি এড়িয়ে যেত।
ফেনী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী রায়হান উদ্দিন বলেন, ফুট ওভারব্রিজ না থাকায় আমাদের এ ঝুঁকি নিতে হচ্ছে। সরকারের উচিত এ ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে ওভারব্রিজ দেওয়া। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, ইচ্ছেমতো রেললাইনের ওপর দিয়ে পথ তৈরি করা হচ্ছে। অনুমোদনহীন ক্রসিং সবচেয়ে বেশি রয়েছে মুহুরীগঞ্জে। এখানে ছয়টি লেভেল রেলক্রসিংয়ের অনুমোদন নেই। এ ছাড়া শর্শদী, দেওয়ানগঞ্জ, ফাজিলপুরে রয়েছে আরও ছয়টি। অনুমোদনহীন ক্রসিং বন্ধ করা হলেও মানুষ নতুন পথ তৈরি করে। ফলে দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।