কুমিল্লা শালবন বৌদ্ধ বিহার ও ময়নামতি জাদুঘরে ঈদের ছুটিতে দর্শনার্থীর উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। পাশের রূপবানমুড়া, কোটিলা মুড়া ও বাণিজ্যিক পার্কগুলোতেও দর্শনার্থীরা ভিড় করেন।
সূত্র মতে, কুমিল্লা নগরী থেকে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে শালবন বিহার। এটি দেব রাজ বংশের চতুর্থ শাসক ভব দেব ৭ম শতকে নির্মাণ করেন। এটি একটি ধর্মীয় শিক্ষালয় বলে পরিচিত। এখানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে মানুষ জ্ঞান আহরণ করতে আসতেন। সরেজমিন দেখা যায়, শালবন বৌদ্ধ বিহার ও ময়নামতি জাদুঘর এলাকায় দর্শনার্থীরা ভিড় করেছেন। ভিতরে গিয়ে দেখা যায়, রঙ্গন, মোসন্ডা, জারবেরা, নয়নতারা, গোলাপ, হেজ পাতা, কফিআন, নানা পাতাবাহারসহ বিভিন্ন রঙের ফুল তার রূপের পসরা সাজিয়ে বসে আছে। তাল গাছের মাথায় বাসা বোনায় ব্যস্ত বাবুই পাখি। খেজুর গাছের মাথায় ঝুলছে হলুদ ফলের কাদি। এখানে ওখানে ঘুরে বেড়াচ্ছে নানা রঙের পাখি। তাদের কণ্ঠে বাজছে বিচিত্র সংগীত। কসবা থেকে আসা কামাল হোসেন বলেন, শালবন বিহারে পরিবার নিয়ে দিনে দিনে যাতায়াত করা যায়। ভালো আবাসিক ব্যবস্থা থাকলে এখানে রাতও যাপন করা যেতে পারে। এ ছাড়া ভালো রেস্টুরেন্ট থাকলে দর্শনার্থীরা উপকার পেতেন। সিসিএন শিক্ষা পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা ড. তারিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, শালবন বিহারের সড়ক খুবই সরু। দুটি বাস ক্রসিং করতে পারে না। বিশেষ করে বার্ড ও পলিটেক ইনস্টিটিউটের মাঝের সড়কটি প্রশ্বস্ত করা হলে দর্শনার্থীরা সহজে যাতায়াত করতে পারবেন।
এছাড়া আবাসিক ব্যবস্থা ও আইনশৃঙ্খলার উন্নয়ন করা গেল দেশের সঙ্গে বিদেশের পর্যটকও আকৃষ্ট করা যাবে। ইতিহাস গবেষক আহসানুল কবীর বলেন,শালবন বিহার শুধু কোন বিনোদন কেন্দ্র নয়। এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। এটি ব্যাপকভাবে জানাতে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিতে হবে। বিশেষ করে এখানে বিভিন্ন স্থানে এটির ঐতিহাসিক গুরুত্বের তথ্য দিয়ে ফেস্টুন প্রদর্শন ও পুস্তিকা সহজলভ্য করতে হবে।
ময়নামতি জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান মো. শাহীন আলম বলেন,ঈদের ছুটিতে এখানে দর্শনার্থীর উপচে পড়া ভিড় থাকে। সপ্তাহজুড়ে ভালো দর্শনার্থী আসবেন বলে আশা করছি।