সারা দেশে আমের খ্যাতি যেসব জেলায় ‘চুয়াডাঙ্গা’ তার অন্যতম। প্রতি বছর এ জেলায় বিপুল পরিমাণ আম উৎপাদন হয়ে থাকে। কিন্তু আম বিক্রির জন্য এ জেলায় কোনো হাট নেই। এ জন্য বিক্রেতা ও ক্রেতাদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। আম চাষি ও বিক্রেতারা এ কারণে ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হন।
চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এ বছর ৩৪ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গুটি, হিমসাগর, ল্যাংড়া ও আম্রপালি আম এরই মধ্যে বাজারে এসেছে। ১৫ জুন ফজলি ও ২৮ জুন আশ্বিনা এবং বারিফোর আম সংগ্রহ করা হবে।
বাগান মালিকরা বলছেন, চুয়াডাঙ্গায় বিপুল পরিমাণ আম উৎপাদন হলেও আম বিক্রির নির্দিষ্ট কোনো হাট নেই। বাধ্য হয়ে তারা নিজেদের উদ্যোগে বাগান থেকে ট্রাকে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় আম পাঠান। যদিও শহরের মাথাভাঙ্গা নদীর কাছে মাত্র ৮-১০টি আড়তে পাকা আম বিক্রি করা যায়। কিন্তু?সাধারণ ক্রেতারা সেখানে আম কিনতে পারেন না। ওইসব আড়ত থেকে খুচরা আম বিক্রি করা হয় না। চুয়াডাঙ্গা ফল ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি আবদুল কুদ্দুস মহলদার বলেন, ‘আম পচনশীল পণ্য। আমরা ঢাকা কিংবা চট্টগ্রামে আম পাঠিয়ে থাকি সেখানকার ব্যবসায়ীদের ওপর নির্ভর করে। তারা যে দাম দেন আমাদের তা মেনে নিতে হয়।’ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মাসুদুর রহমান সরকার বলেন, ‘আমের হাটের জন্য কৃষকরা দাবি তুলেছেন; প্রয়োজনও রয়েছে। কৃষি বিভাগ এ ব্যাপারে উদ্যোগী হবে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘হাটের জন্য একটি সুন্দর জায়গা দরকার। তবে সেটা এ বছর সম্ভব নয়। আগামী বছর চুয়াডাঙ্গায় আমের হাট বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।’