গত সপ্তাহে ঢাকা থেকে আসা দুই কভিড পজিটিভ রোগী কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ছাড়া ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দি, কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। এসব উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালসহ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি হচ্ছেন রোগীরা। এতে কুষ্টিয়ায় নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে কভিড। এদিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের করোনা পরীক্ষার পিসিআর ল্যাবের সব যন্ত্রাংশ চুরি হয়ে গেছে। বিষয়টি মাসখানেক আগে টের পেয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ১৬ এপ্রিল করোনা শনাক্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল প্রাঙ্গণে একতলা ছোট ভবনে পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা হয়। সে সময় প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে এটি স্থাপন করা হয়। করোনা সংক্রমণ কমে যাওয়ার পর এক বছর আগে পিসিআর ল্যাবের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। জানা যায়, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের মাইক্রো বায়োলোজি বিভাগের দায়িত্ব ছিল এটার দেখভালসহ রক্ষণাবেক্ষণ করার। দুজন কর্মচারীকে ল্যাবটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. হোসেন ইমাম জানান, ধারণা করছি চার মাস ধরে ধাপে ধাপে চুরির ঘটনা ঘটেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এক মাস আগে বিষয়টি টের পেয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি তাদের রিপোর্টও জমা দিয়েছে। জেলা সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য মতে, এর আগে ২০১৯ সাল থেকে কভিডের বিস্তার শুরু হয়। ২০২০ সালের ৮ মার্চ থেকে ২০২১ সালের আগস্ট পর্যন্ত এ জেলায় কভিড আক্রান্ত হয়ে মারা যান ৮৫৫ জন। আক্রান্ত হয়েছিলেন ৪ হাজারের মতো রোগী। মেডিসিন বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. মাহফুজুর রহমান বলেন, পরিস্থিতি ভয়াবহের আশঙ্কা নাই। তবে আমরা চিকিৎসা দিতে প্রস্তুতি নিয়েছি। আইসোলেশন ওয়ার্ডও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। গত সপ্তাহে রাজধানী ঢাকা থেকে কুষ্টিয়া আসা দুই করোনা পজিটিভ রোগী কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা চলে গেছেন। অবহেলার কারণে এভাবে কভিড ছড়িয়ে মহামারি আকার ধারণ করতে পারে। তাই তিনি জ্বর-সর্দি বা হাঁচি-কাশি হলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন।