সাগর থেকে একের পর এক ট্রলারে মাছ নিয়ে ঘাটে ফিরছেন জেলেরা। শুরু হয়েছে ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাক। এমন চিত্র কলাপাড়ার শিববাড়িয়া নদীর তীরে অবস্থিত মৎস্যবন্দর মহিপুর আলীপুরের। দীর্ঘদিন শুনসান থাকা মৎস্যবন্দর যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। সাগরে আশানুরূপ মাছ ধরা পড়ায় উচ্ছ্বসিত জেলেরা। মাছের সরবরাহ যেমন ভালো তেমনি ব্যাপক চাহিদা রয়েছে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয় জেলেরা জানান, ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে বঙ্গোপসাগরে শুরু হয়েছে মাছ ধরা। কুয়াকাটাসংলগ্ন সাগরে মাছ ধরে ডিঙ্গি নৌকা ও ছোট ট্রলারে নিয়ে ফিরছেন অনেকে। গভীর সাগরে যাওয়া বড় ট্রলারগুলো এখনো ঘাটে ফেরেনি। এসব ট্রলার ঘাটে না ফেরায় সরবারহের চেয়ে ইলিশের চাহিদা বেশি। জেলে আবুল কালাম জানান, সরকারের ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা মেনে তারা সাগরে দীর্ঘদিন মাছ ধরা বন্ধ রাখেন। নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর সাগরে জাল ফেললে ইলিশসহ সামুদ্রিক বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরা পড়ে। এভাবে মাছ ধরা পড়লে অতীতের ধারদেনা কাটিয়ে উঠতে পারবেন বলে তিনি জানান। মহিপুর মৎস্য আড়তদার মালিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাজু আহমেদ রাজা বলেন, ভারতের সঙ্গে মিল রেখে এ বছর অবরোধ দেওয়ায় সাগর অনেকটা নিরাপদ ছিল। আশা করছি, জেলেদের জালে প্রচুর মাছ ধরা পড়বে। সরেজিমন দেখা যায়, পাইকারি মৎস্য আড়ত, মহিপুর ও আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র আড়ত ঘাটে ফিরেছে ছোট ছোট মাছ ধরা ট্রলার। সেখান থেকে শ্রমিকরা ঝুড়িতে করে মাছ তুলে আড়তে নিয়ে যাচ্ছেন। জেলে, আড়তদার ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের হাঁকডাকে মুখর পাইকারি এ মাছ বাজার। ইলিশসহ নানা সামুদ্রিক মাছ দেখা গেছে। এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২০০০-২২০০ টাকায়। ৮০০ গ্রামের ইলিশ ১৬০০-১৮০০, ৫০০ গ্রামের ইলিশ ১০০০ থেকে ১২০০ এবং ছোট ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৬০০ টাকা কেজি দরে।