গাইবান্ধার সাঘাটায় পরীক্ষায় ফি না দিতে পারায় তিন পরীক্ষার্থীকে মারধর করে পরীক্ষার রুম থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মাদরাসার সুপার জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে। গতকাল উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের গাছাবাড়ী দাখিল মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের গাছাবাড়ী দাখিল মাদরাসায় ক্লাস পরীক্ষা চলাকালে ফি না দিতে পারায় সপ্তম শ্রেণির ছাত্র জাহিদ সরকার, ছাত্রী মারিয়ম আক্তার মৌ ও সাদিয়া আক্তারকে বের করে দেয় মাদরাসার সুপার জসিম উদ্দিন। ছাত্রকে থাপ্পড় দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন মাদরাসার সুপার জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, এ ছাত্রটি দুষ্ট তাই থাপ্পড় মেরেছি। আমি শিক্ষক হিসেবে তাকে মারতেই পারি। সাঘাটা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আহসান হাবীর বলেন, পরীক্ষা ফি দিতে দেরি হওয়ার জন্য ছাত্রকে মারধর করা অন্যায়। উপজেলা মাসিক মিটিংয়ে বিষয়টি উপস্থাপন করা হবে। তদন্ত করে দোষীসাব্যস্ত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাঘাটা ইউএনও মীর মো. আল কামাহ্ তমাল বলেন, বিষয়টির খোঁজ নিচ্ছি।
মাদরাসার ছাত্র জাহিদ সরকার জানান, সুপার হুজুরকে ৩০০ টাকা দিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার অনুরোধ করেছি। ওনি আমাকে থাপ্পড় মেরে ক্লাস থেকে বের করে দিয়েছেন। আমাকে পরীক্ষা দিতে দেয়নি।
ছাত্রী মরিয়ম আক্তার মৌর বাবা মমিন সরকার বলেন, আমার মেয়েকে পরীক্ষা চলার সময়ে রুম থেকে বের করে দিয়েছে। আমরা তো গ্রামের মানুষ। সব সময় তো হাতে টাকা থাকে না। পরীক্ষার ফি তো দুই তিন দিন পরেই দিতাম।