ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ-নবীনগর মহাসড়ক নির্মাণে আশুগঞ্জ উপজেলার চর লালপুর নোয়াগাঁও অংশে রুট পরিবর্তনের ফলে অন্তত ৪০টি পরিবারের বসতভিটা উচ্ছেদের মুখে পড়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রকল্পের প্রাথমিক ড্রোন ম্যাপ ও গুগল সার্ভে অনুযায়ী সড়কটি তাদের বাড়িঘরের পূর্ব পাশ দিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এক প্রভাবশালী ব্যক্তির স্বার্থে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে নকশা বদলে সড়কটি বসতবাড়ির ওপর দিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পক্ষ থেকে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে লিখিত আবেদন করেছে। এতে অভিযোগ করা হয়েছে, রুট পরিবর্তনের মাধ্যমে একটি প্রভাবশালী গোষ্ঠী অবকাঠামো বাবদ সরকারি ক্ষতিপূরণের বিল আদায়ের সুযোগ নিতে চাইছে। পরিবর্তিত রুট বাস্তবায়ন হলে অর্ধশতাধিক বছরের পুরোনো পাকা, আধাপাকা ও টিনশেড ঘরসহ বহু স্থাপনা ভাঙতে হবে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, যথাযথ ক্ষতিপূরণ পাওয়াও অনিশ্চিত; পুনর্বাসনের ব্যয়ভার বহন করাও তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। এতে জীবিকা, সন্তানদের পড়াশোনা ও সামাজিক নিরাপত্তা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বর্তমান রুট থেকে মাত্র ৫০ ফুট পূর্ব দিকে কৃষিজমির ওপর দিয়ে সড়ক সরিয়ে নিলে উচ্ছেদ এড়ানো সম্ভব। যা প্রকল্পের শুরুতে ড্রোন ম্যাপ ও গুগল সার্ভে অনুযায়ী নির্ধারিত ছিল। এতে সরকারও কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ ব্যয় সাশ্রয় করতে পারবে, ফলে জনস্বার্থ ও অর্থ দুই-ই রক্ষা পাবে। সংক্ষুব্ধ পরিবারগুলো যোগাযোগ উপদেষ্টা, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক দপ্তরেও ওই আবেদনের অনুলিপি পাঠিয়েছে। নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন বলেন, মহাসড়ক পরিকল্পনা বিভাগের নির্ধারিত রুট অনুযায়ী ভূমি অধিগ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রক্রিয়া চলছে। প্রয়োজনে আবারও সার্ভে করে দেখা হবে। ভূমির মালিকদের সঙ্গে সমন্বয় করে স্থানীয় ঠিকাদাররা কিছু কাজ এগিয়ে নিচ্ছে বলে আমাদের জানানো হয়েছে।