সারা দেশের মত বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌরসভা নির্বাচনের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। সম্ভাব্য প্রাথীদের দৌঁড় ঝাঁপে পৌর এলাকা সর গরম হয়ে উঠেছে। নির্বাচনের দিনক্ষণ নির্ধারণ না হলেও প্রার্থীদের দৌর ঝাঁপে নির্বাচনের আমেজ দিন দিন জমে উঠছে। ইতিমধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীরা পৌরবাসীর দোয়া কামনা করে নিজেদের ছবি সম্বলিত পোস্টার লাগিয়ে গোটা পৌর এলাকা ছাপিয়ে ফেলেছেন। শহরের পাড়া মহল্লায় এখন নির্বাচনের আলাপ চারিতাই প্রাধান্য পাচেছ। শুরু হয়েছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌঁড় ঝাঁপ। ভোটারদের সমর্থন নিতে তারা নিচ্ছেন নানা কৌশল। সকল প্রাথীই এবার নবীনদের হাত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এজন্য তারা পাড়া মহল্লায় ক্লাবে ক্লাবে করছেন পিকনিকের আয়োজন। দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। প্রবীণদের কাছে চাচ্ছেন দোয়া ও আশীর্বাদ। পাড়ায় বা মহল্লায় কোনো ব্যাক্তির মৃত্যু সংবাদ পেলেই সম্ভাব্য প্রাথীরা ছুটছেন মৃতের বাড়িতে। কি মুসলীম, কি হিন্দু, কি খ্রিষ্টান এমনকি হরিজনদের বাড়িতে যেতেও তারা ভুল করছেন না। মৃত ব্যাক্তির বাড়িতে গিয়ে তারা পরিবারের লোকজনদের দিচ্ছেন সান্ত্বনা। তবে ভোটাররা করছেন অন্য হিসাব-নিকাশ। তারা হিসাব কষছেন অতীত ভবিষ্যৎ নিয়ে। অতীতে কে কি করেছেন এবং ভবিষ্যতে কার দ্বারা পৌরসভার উন্নয়ন হবে এসব হিসাব কষতেও ভুল করছেন না সাধারণ ভোটাররা। এই পৌরসভায় এবার মেয়র প্রার্থী ৬ জনের নাম শোনা যাচ্ছে। তারা সবাই মাঠে গণসংযোগে নেমেছেন। এদের মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ৩ জন, বিএনপির ৩ জন। এছাড়া পৌরসভার ৯ ওয়ার্ডে ৯ কাউন্সিলর পদের জন্য অর্ধ-শতাধিক প্রার্থী গণসংযোগে রয়েছেন। একই সাথে ৩টি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদের জন্য ১৮ জন প্রার্থী মাঠে নেমেছেন।
মেয়র পদে আওয়ামী লীগ থেকে যারা নির্বাচনে মাঠে নেমেছেন তারা হলেন আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সান্তাহার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম মন্টু, আদমদীঘি উপজেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের আহবায়ক রাশেদুল ইসলাম রাজা, সান্তাহার পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাহিদুর বারী, বিএনপির তিন প্রার্থী হলেন সান্তাহার পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর বিএনপির সভাপতি ফিরোজ মো. কামরুল হাসান ও পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান পৌরসভার মেয়র তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টু, এবং পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম আখতারুজ্জামান মিঠু।
বিডি-প্রতিদিন/২২ নভেম্বর ২০১৫/শরীফ