যশোরে শিবির সন্দেহে গতকাল সোমবার বিকেলে গণপিটুনীতে আহত কামরুল হাসান নামে আরেক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় রাতে ঢাকায় নেয়ার পথে মারা যান তিনি।
কামরুল হাসান বাঘারপাড়া উপজেলার ছোট খুদরা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে। এ নিয়ে ওই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাড়ালো ২।
এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান হাবিবুল্লাহ। গুরুতর আহত অবস্থায় আল মামুন নামে আরও একজনকে একই হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
নিহত ও আহত তিনজনই যশোর এমএম কলেজের অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয়বর্ষের ছাত্র। কলেজের পূর্ব পাশে ‘নির্ঝর’ নামে একটি মেসে তারা থাকতেন।
এলাকাবাসী জানায়, গতকাল বিকেল ৩টার দিকে ৪/৫ জন যুবক এসে শিবির কর্মী সন্দেহে 'নির্ঝর' মেস থেকে ওই তিনজনকে ধরে নিয়ে বেধড়ক পিটুনী দেয়।
যশোর কোতোয়ালি থানার এএসআই আতাউর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করি। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থা বিকেল সোয়া ৫টার দিকে মারা যান হাবিবুল্লাহ।’
আহত কামরুলের মা আনোয়ারা বেগম বলেন, তার ছেলে কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল না। তিনদিন বাড়িতে থেকে সোমবার যশোর এসেছিল পরীক্ষা দেওয়ার জন্য। তবে জেলা জামায়াতের একজন শীর্ষ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, নিহত ও আহতরা শিবিরের কর্মী। স্থানীয় ছাত্রলীগের কর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়।
এদিকে, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুল ‘নির্ঝর’ নামের ছাত্রাবাসে হামলার সঙ্গে ছাত্রলীগের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেন, শিবিরের মালিকানাধীন ওই মেসে প্রত্যেক শুক্রবার গোপন বৈঠক হতো। সেখানে নাশকতার পরিকল্পনা করা হতো। বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় লোকজন মেসটিতে হামলা চালায়। পরে স্থানীয় ছাত্রলীগের কর্মীরা তাদের উদ্ধার করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। স্থানীয় লোকজন মেসটি থেকে ককটেল ও শিবিরের বইপুস্তক উদ্ধার করেছে বলেও দাবি করেন বিপুল।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৪ নভেম্বর, ২০১৫/ রশিদা