নদী পাড়ের পৈত্রিক জমি থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে বাধা দিতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন জমির মালিক বৃদ্ধ কৃষক আ. হামিদ (৭০)। রবিবার সকালে দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের বছিরবানিয়া বড়হরিপুর গ্রামের ছোট যমুনা নদীর ধারে এ ঘটনা ঘটে।
বৃদ্ধ কৃষক আ. হামিদের বাড়ি বড়হরিপুর গ্রামের শাহপাড়ায়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও গ্রামবাসীরা জানান, ছোট যমুনা নদীর ধার ঘেষে বড়হরিপুর মৌজার ১২৬৮ দাগে আ. হামিদের ১৪ শতক আবাদী জমি ছিল। বিগত কয়েক বছরের বন্যায় জমিটি নদীতে বিলীন হয়ে যায়। পার্শ্ববর্তী পোদ্দার পাড়া গ্রামের মহাদেব বাচ্চু (৩৮), মানিক কুমার (৩২), উত্তর শালন্দার সরকার পাড়া গ্রামের গোলাম মুর্তোজা বাবু (৩০) ও একরামুল হক বেলাল (৩৫) নদীর মধ্যে বিলীন হয়ে যাওয়া আ. হামিদের জমি এলাকায় মেশিন বসিয়ে গত ৭/৮ দিন ধরে জোরপূর্বক বালু উত্তোলন করে আসছিল। এতে প্রথম থেকেই বালু তোলায় বাধা প্রদান করেন আ. হামিদ ও তার ছেলেরা। গত শনিবার এ নিয়ে দু'পক্ষের মধ্যে সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে আ. হামিদ বালু উত্তোলন বাবদ ২০ হাজার টাকা দাবি করলে বালু ব্যবসায়ীরা দুই হাজার টাকা দিতে রাজি হয়। এতে কোন সমঝোাতা না হওয়ায় সালিশ অমিমাংসিত থেকে যায়।
রবিবার সকালে আবারো বালু তোলা হচ্ছে খবর পেয়ে উত্তেজিত হয়ে আ. হামিদ ঘটনাস্থলের দিকে ছুটতে থাকে। কাছাকাছি পৌঁছামাত্র হঠাৎ করে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি।
এ ব্যাপারে পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, আমিও দুঃখজনক এ ঘটনার খবর জেনেছি। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধের জন্য ব্যবস্থা নিতে বলেছি।
বিডি-প্রতিদিন/১৭ জানুয়ারি, ২০১৬/এস আহমেদ