দীর্ঘ একমাস পর নোয়াখালীতে অপহৃত কলেজ ছাত্রী সুমি রানীকে উদ্ধার করেছে চরজব্বর থানা পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সুমিকে আজ সকালে জেলা শহর মাইজদী থেকে বোরকা পরিহিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় বলে জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চরজব্বর থানার এস আই ইব্রাহীম। তবে অপহরণকারী সোহাগকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ১৯ ডিসেম্বর সকালে সুমি রানী মজুমদার ফুফুর (পিসি) বাড়িতে যাওয়ার পথে স্থানীয় বখাটে সোহাগ তাকে অপহরণ করে। এ সময় স্থানীয় লোকজন বখাটেদেরকে ধাওয়া করে ধরতে ব্যর্থ হয়। এ নিয়ে চরজব্বর থানা পুলিশ প্রথমে মামলা নিতে গড়িমসি করে। পরে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের চাপে মামলা নেয় পুলিশ। সোহাগ উপজেলার পূর্ব চরবাটা ইউনিয়নের হাজিপুর গ্রামের মিস্ত্রিবাড়ির মো. নবীর ছেলে। সুমির বাড়িও একই গ্রামে।
এদিকে মাস পার হতে থাকলেও সুমি উদ্ধার না হওয়ায় শনিবার নোয়াখালী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে অপহৃত সুমির পরিবার ও সুবর্ণচর উপজেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ। তারা অভিযোগ করেন, পুলিশ মামলা নিলেও সুমিকে উদ্ধার ও অপহরণকারীকে গ্রেফতারে তৎপর হচ্ছে না। এদিকে অসামিরা মামলা তুলে নিতে অসহায় পরিবারটিকে হুমকি ধমকি দিয়ে যাচ্ছে।
এ নিয়ে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদ প্রচার হলে চারিদিকে আলোডন সৃষ্টি হয়। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সংবাদ সম্মেলনের দু'দিনের মধ্যে সোমবার সকালে চরজব্বর থানার পুলিশ মাইজদী থেকে বোরকা পরিহিত অবস্থায় সুমিকে উদ্ধার করে। তবে অপহরনকারী সোহাগকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
সুমিকে এদিন দুপুরে মেডিকেল চেকআপের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/১৮ জানুয়ারি ২০১৬/ এস আহমেদ
