নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার ৮৯টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৩টিতেই প্রধান শিক্ষক নেই। এছাড়া বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ৪৯টি সহকারি শিক্ষকের পদও শূণ্য রয়েছে। শিক্ষক শূণ্যতার কারণে উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা হুমকিতে বলে মনে করছেন স্থানীয় অভিভাবক ও শিক্ষাবিদরা।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, এই উপজেলায় ৫৯ টি পূর্ব জাতীয়করণকৃত সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৪টিতে ও নব্য-জাতীয়করণকৃত ৩০টির মধ্যে ৯টিতে প্রধান শিক্ষকের পদ শূণ্য রয়েছে। এছাড়া নব্য জাতীয়করণকৃত বিদ্যালয়ে ৩৪ সহকারি শিক্ষক এবং পূর্বে জাতীয়করণকৃত বিদ্যালয়ের মধ্যে ২ জন প্রাক-প্রাথমিকসহ ১৫ জন সহকারী শিক্ষকের পদ শূণ্য রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষক শূণ্যতার কারণে রুটিন মোতাবেক ক্লাস নিতে পারছেন না শিক্ষকরা। তাছাড়া প্রধান শিক্ষকের পদ দীর্ঘদিন খালি থাকায় প্রশাসনিক কাজও ব্যহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষকেরা।
অন্যদিকে অভিভাবক ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক জানান, এমনিতেই শিক্ষক সংকটে ক্লাস ঠিকমতো হয় না। তার উপরে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের আস্থাভাজন কিছু সহকারি শিক্ষক নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসেন না। তারা অন্য পেশায় নিজেদের বেশি ব্যস্ত রেখেছেন। এর আগে একজন সহকারি শিক্ষক বিদ্যালয়ে ক্লাস না নিয়ে নিয়মিত সাংবাদিকতা পেশায় ব্যস্ত থাকায় বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর কিছুদিন তিনি সাংবাদিকতা পেশা থেকে দূরে ছিলেন। পরে আবার সাংবাদিকতায় ফিরে আসেন।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার সিরাজুম মনিরা জানান, শিক্ষকের পদ শূণ্য থাকলে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত হয় এটা ঠিক। শিক্ষকরা অন্য কোন পেশায় নিয়োজিত আছে কিনা তা আমার জানা নাই। শূণ্য পদের বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/১৯ জানুয়ারি ২০১৬/ এস আহমেদ