বগুড়ার দুপচাঁচিয়া পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে শরিফ উদ্দিন প্রামাণিককে নির্বাচিত ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন আদালত। ২০১৪ সালের ২৮ ডিসেম্বও পৌরসভার নির্বাচনে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা কাউন্সিলর পদে ইদ্রিস আলীকে এক ভোটের ব্যবধানে জয়ী বলে ঘোষণা করে। নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণা মেনে না নিয়ে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাউন্সিলর প্রার্থী শরিফ বাদী হয়ে ফলাফলের বিরুদ্ধে বগুড়ার যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালত ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন।
আদালতের বিচারক মমিনুন নেছার প্রদত্ত রায় থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৮ ডিসেম্বও পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ৯ নম্বর ওয়ার্ডে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
নির্বাচনের ফলাফলে ইদ্রিস আলী (হরিণ মার্কা) ৫০৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শরিফ উদ্দিন ৫০২ ভোট পান। নির্বাচনী ফলাফলের গেজেট প্রকাশ ও শপথ গ্রহণের পর ২০১৫ সালের ২১ জানুয়ারি শরিফ উদ্দিন বাদী হয়ে এ ফলাফলের বির'দ্ধে পুনঃগণনার জন্য আদালতে মামলা করেন। আদালত যাচাই-বাছাই করে পুনঃগণনা শেষে শরিফ উদ্দিন প্রামাণিককে (আপেল মার্কা) কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত করে ২১ জানুয়ারি রায় ঘোষণা করেন। আদালতের রায় ঘোষণার বিষয়ে ইদ্রিস আলী বলেন, 'রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।'
দুপচাঁচিয়ায় উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সুদীপ কুমার রায় জানান, রায়ের কপি হাতে পেয়েছি। বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/শরীফ