ঝিনাইদহে সাতদিন ধরে একটি ঘরে গৃহবধূ নুরুন্নাহার(২৮)কে আটক রেখে পাশবিক নির্যাতন করেছে তার স্বামী শহিদুল ইসলাম ও সতিন রহিমা খাতুন। খবর পেয়ে পুলিশ বুধবার রাত ১টার দিকে তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে। ঘটনার পর থেকে স্বামী ও সতিন পলাতক রয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ১৪ বছর আগে পারিবারিকভাবে জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার হাজরা গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে শহিদুল ইসলামের সঙ্গে চট্টগামের সাতকানিয়া উপজেলার বকরা আলী বিল গ্রামের ইউসুফ আলীর মেয়ে নুরুন্নাহারের বিয়ে হয়। বিয়ের পরে তাদের ঘরে দু’টি সন্তান জন্ম নেয়। সাত বছর পরে শহিদুল ইসলাম আরও একটি বিয়ে করেন। এরপর থেকেই নুরুন্নাহারকে বিভিন্ন সময় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিল স্বামী শহিদুল ও সতিন রহিমা খাতুন।
২০/২৫ দিন আগে বাবার বাড়ি যাওয়ার কথা বলে নুরুন্নাহারকে ঝিনাইদহ শহরের পাগলাকানাই এলাকার একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে আটকে রাখেন স্বামী শহিদুল। এরপর থেকেই শুরু হয় তার ওপর পাশবিক নির্যাতন। সাতদিন ঘরে আটকে রেখে লাঠি, হাতুড়ি ও রড দিয়ে পেটানো হয়। মার খেয়ে গৃহবধূ অজ্ঞান হয়ে পড়লে নির্যাতনে বিরতি দেওয়া হয়। ফের জ্ঞান ফিরলে শুরু হয় নির্যাতন। এক পর্যায়ে বুধবার রাতে ওই গৃহবধূর চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নুরুন্নাহারকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে নুরুন্নাহার হাসপাতালের বারান্দায় মৃত্যু যন্ত্রনায় ছটফট করছেন।
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি হাসান হাফিজুর রহমান জানান, খবর পেয়ে গৃহবধূকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বিডি-প্রতিদিন/২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/ এস আহমেদ