নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে শশুর বাড়ির লোকজনের সঙ্গে জামাতার লোকজনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের নারীসহ অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন।
এসময় জামাতার লোকজন শশুর বাড়ির লোকজনের বাড়িঘরে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। শুক্রবার রাতে উপজেলার তারাব পৌরসভার মোগড়াকুল এলাকায় ঘটে এ ঘটনা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, মোগরাকুল এলাকার লাল মিয়ার ৬ জন কন্যা সন্তান রয়েছে। এদের মধ্যে ৪ নাম্বার কন্যার নাম মর্জিনা আক্তার ও ৩ নাম্বার কন্যার নাম শাহনাজ আক্তার। কয়েক মাস পুর্বে মর্জিনা আক্তারের স্বামী মামুন মিয়া দ্বিতীয় বিয়ে করেন। রাগে অভিমানে স্বামীর অজান্তে মর্জিনা আক্তার কর্মজীবনের তাগিতে কাতার চলে যান। মর্জিনার মেয়ে মারিয়া আক্তার নানা লাল মিয়ার বাড়িতেই বসবাস করছেন। এরপর অপর বোন শাহনাজের ছেলে সাগর মিয়া কাতারে চলে যাওয়ার বিষয়টি মর্জিনার স্বামী মামুনকে বলে দেয়। এ নিয়ে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে মর্জিনার মেয়ে মারিয়া আক্তারের সঙ্গে সাগরের তর্কবিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে সাগরের বাবা মাইনুল ইসলাম, মা শাহনাজসহ তাদের পরিবারের লোকজন ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে লাল মিয়ার বাড়ি ঘরে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এসময় লাল মিয়ার সঙ্গে জামাতা মাইনুল ইসলামের বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে দু’পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের নারীসহ অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে, মাসু আক্তার, মনির হোসেন, রাবেয়া বিবি, লাল মিয়া, রিমা বেগম, হৃদয়, শাহনাজ আক্তার, মাইনুল ইসলাম, ইউসুফ মিয়া, সাগর মিয়াকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাবেয়া বিবিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল ইসলাম জানান, এ ধরনের ঘটনার উভয় পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/ ১২ মার্চ ১৬/ সালাহ উদ্দীন