বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার থালতা মাজগ্রাম মাদ্রাসাপাড়ার একটি শিশুকে শনিবার রাতে ধর্ষণ করে একই এলাকার বখাটে ফরিদ উদ্দিন। রবিবার ভোরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায় মেয়েটি।
ধর্ষণের শিকার শিশুটি স্থানীয় মাজগ্রাম এম এ সিনিয়র ফাযিল মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ছিল। তার বাবার নাম জামেদ আলী। বিক্ষুদ্ধ গ্রামবাসী বাদশা মিয়ার ছেলে ধর্ষক ফরিদকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
জানা যায়, শনিবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় বখাটে ফরিদ উদ্দিন ওই শিশুটির ঘরে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষণ করে। ভোরে জামেদ আলী মেয়েকে ডাকতে তার ঘরে যায়। কিন্তু ভেতর থেকে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে তিনি প্রতিবেশিদের ডেকে আনেন। তারা দরজায় ধাক্কাধাক্কি শুরু করলে ধর্ষক ফরিদ জানালা দিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী ধাওয়া করে তাকে ধরে ফেলে। পরে রবিবার বেলা ১২টার দিকে গ্রামবাসী ধর্ষককে পুলিশে সোপর্দ করে।
এদিকে, ধর্ষণের শিকার মেয়েটিকে উদ্ধার করে দ্রুত বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শজিমেক) উদ্দেশ্যে রওনা দিলে পথেই মারা যায় সে।
নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রেজাউল মজুমদার জানান, ধর্ষক ফরিদ উদ্দিন আটক রয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৩ মার্চ, ২০১৬/ রশিদা