নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার বয়ারচর চেয়ারম্যান ঘাটে গণপিটুনিতে ৪ ডাকাতকে পিটিয়ে হত্যা, অস্ত্র উদ্ধার ও পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় চেয়ারম্যান ঘাট রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্স ক্যাম্পের ইনচার্জ মজিবর রহমান বাদী হয়ে ৩টি মামলা করেছেন। এর মধ্যে ৪ ডাকাতকে গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনায় ৫০০ লোকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
এদিকে, নিহত ডাকাত সাইফুল ইসলামের লাশ তার বাবার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। অপর নিহত ডাকাত আবু বক্করের লাশ তার স্বজনরা জয়পুরহাটে নিয়ে গেছে। নোয়াখালী সদর সার্কেল (এএসপি) নব জোতি খিষা রবিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত ১২টার দিকে ট্রলারযোগে ৭ থেকে ৮ জন ডাকাত হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাটে আসার পর স্থানীয় লোকজন সন্দেহ হলে তাদেরর মধ্যে ৬ জনকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১০টি দেশিয় অস্ত্র পাওয়া যায়। এরপর ৬ ডাকাতকে তাদের ক্যাম্পে নিয়ে রশি দিয়ে টেবিলে সাথে বেঁধে রাখে এবং তাদের কাজ থেকে উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলো টেবিলের ওপর রাখে। এক পর্যায়ে বিদ্যুৎ চলে গেলে ডাকাতরা বাঁধন খুলে টেলিলের ওপর রাখা অস্ত্র দিয়ে পুলিশ সদদ্যদেরকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যাওয়ার চেস্টা করে। এ সময় স্থানীয় লোকজন ডাকাতদেরকে চারদিক থেকে ঘিরে গণপিটুনী দেয়। এতে ঘটনাস্থলে ৪ ডাকাতের মৃত্যু হয় এবং অপর ২ জন গুরুতর আহত হয়।
এ ব্যপারে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে পালানোর চেষ্টা, অস্ত্র উদ্ধার ও হত্যা ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে হাতিয়া থানায় ৫০০ লোকের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা করে।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৩ মার্চ, ২০১৬/ রশিদা