নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে এক চেয়ারম্যান প্রার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। পরবর্তীতে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করায় তাকে মুক্তি দেয়া হয়। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ২নং চরপার্বতী ইউনিয়নে শনিবার রাতে। এ ঘটনার পর আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী দমনে পুলিশকে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে আলাপ করা হলে তিনি জানান, এ ধরনের অভিযোগ সত্য নয়। আমাদের পক্ষ থেকে প্রার্থীদের ওপর কোন চাপ নেই। মোশারেফ হোসেন বিপ্লবকে আটক করার বিষয়ে তিনি জানান, চরপার্বতী থেকে কিছু সন্দেহভাজন লোককে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে মোশারেফ হোসেন বিপ্লবও ছিল। পরবর্তীতে তার পরিচয় পেয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারে দলীয় নেতৃবৃন্দ অনেক চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ার পর কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এম সাজেদুর রহমানের সহযোগীতা চাওয়া হয়। এর পর থেকেই ওসি নিজ দ্বায়িত্বে বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে হুমকি দিতে থাকে। এতেও কাজ না হওয়ায় শনিবার রাতে অভিযানে নামেন। এ সময় চরপার্বতী ইউনিয়নের দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা নুরুল হুদার ছেলে সাংবাদিক মোশারেফ হোসেন বিপ্লবকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। পরবর্তীতে তার কাছ থেকে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার পত্রে স্বাক্ষর নিয়ে তাকে ছেড়ে দেন। এ ঘটনায় সাধারণ ভোটারদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে দেখা গেছে।
আরও অভিযোগ রয়েছে, চরহাজারী ইউনিয়নের গোলাম হোসেন রাফেল ও নুরুজ্জমান স্বপন, চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ফখরুল ইসলাম সবুজ, চরএলাহীর আব্দুল গণি ও সিরাজপুরের নাজিম উদ্দিন মিকনের উপরও একই কায়দায় চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসির ভয়ে প্রার্থীরা এখন আত্মগোপনে আছেন। সরাসরি নির্বাচনী প্রচারণা করতেও সাহস পাচ্ছেন না।
এদিকে পুলিশি ভয়ে আতঙ্কিত মোশারেফ হোসেন বিপ্লবের সাথে আলাপ করলে তিনি জানান, যা হওয়ার হয়েছে। এ নিয়ে আমি আর কোন কথা বলতে চাই না।
বিডি-প্রতিদিন/১৩ মার্চ ২০১৬/ এস আহমেদ