স্ত্রীর অধিকার ফিরে পেতে পাঁচদিন যাবত স্বামীর বাড়ির সামনে অনশন করছে আলুফা খাতুন সাথী (২০) নামে এক অসহায় কলেজ ছাত্রী। বৃহস্পতিবার রাত থেকে বস্তুল গ্রামে স্বামী সেলিমের বাড়িতে সে অবস্থান নেয়। তবে প্রতারক স্বামী কৌশলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
এ অবস্থায় অনশনরত ওই কলেজ ছাত্রীকে শ্বাশুড়ী ও ননদরা একাধিকবার মারপিটেও করেছে।
এদিকে, অনাহারে-অর্ধাহারে গরু পালনের খড়ের মধ্যে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। কলেজছাত্রী সাথী উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের কাজিপুর গ্রামের ইউনুছ আলীর মেয়ে।
অনশনরত কলেজ ছাত্রী আলুফা খাতুন সাথী জানান, বস্তুল গ্রামের মৃত আব্দুস সামাদের বাড়িতে থেকে সে বস্তুল উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করত। এসময় আব্দুস সামাদের ছেলে সেলিম আহম্মেদের সাথে প্রেমে সর্ম্পক গড়ে ওঠে। এসএসসি পরীক্ষার পর সিলেট সরকারী পলিটেকনিক কলেজে সে সুযোগ পায়। সেলিমের সাথে সিলেটে যাবার জন্য রওয়ানা হলে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক সেলিম ঢাকায় তার এক বন্ধুর বাসায় নিয়ে তাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে দু'জনে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে থাকতে শুরু করেন। তবে স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা বিয়ের বিষয়টি গোপন রাখতে বলেন। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার জানতে পারেন সেলিম শনিবার পেঙ্গুয়ারী গ্রামে আরেকটি বিয়ে করবে বলে দিনতারিখ ধার্য্য করেছেন। এ জন্য স্ত্রীর অধিকার ফিরে পেতে গত পাঁচদিন ধরে স্বামীর বাড়িতে অবস্থান করেছেন। অবস্থানকালে শ্বাশুড়ী ও ননদরা তাকে একাধিবার মারপিটও করেছে বলেও কলেজ ছাত্রী আলুফা খাতুন সাথী জানিয়েছেন।
এদিকে, ঘটনাটি মানবিক হলেও প্রশাসন বা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মাতবররা কোন ভুমিকা না নেয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিল্লুর রহমান খান জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। প্রথম শুনলাম। আমি মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিচ্ছি।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৪ মার্চ ১৬/ সালাহ উদ্দীন