কক্সবাজারের মহেশখালী পৌরসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণের শেষ দিকে এসে চারটি কেন্দ্রে ব্যাপক গোলাযোগ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ৫নং ওয়ার্ড ঘোনারপাড়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে বিকাল ৩টার দিকে নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী মকসুদ মিয়া ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সরওয়ার আজমের সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, কেন্দ্রের মধ্যে মকসুদ মিয়ার এজেন্টরা জোরপূর্বক নৌকা প্রতীকে সীল মারাকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে পুলিশ অন্তত ১৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে। সংঘর্ষে ৭জন গুলিবিদ্ধসহ ৩০জন আহত হয়।
গুলিবিদ্ধরা হল নুর হোসেন (৪০), রাসেল (২০), আবদুল গফুর (৩৫), নেছার (১৮), মাহমুদুল করিম (২২), আবু ছিদ্দিক (৩৫), নুরুল কবির (৪২)। তারা সকলেই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সরওয়ার আজমের সমর্থক বলে জানা গেছে। গুলিবিদ্ধদের প্রথম মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদেরকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।
এছাড়া মহেশখালী পৌরসভার ভূমি অফিস কেন্দ্র বার্মিজ প্রাইমারী, সিকদার পাড়া মাদ্রাসা কেন্দ্রেও মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সরওয়ার আজম দাবি করেছেন, দুপুর ২টার পর থেকেই ভোটগ্রহণে কর্তব্যরত প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের যোগসাজশে নৌকা প্রতীকের এজেন্টরা তার এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয় এবং চারটি কেন্দ্রে ১৮শ' ব্যালট পেপারে সীল মেরে দেয়।
এদিকে চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচনেও ১৮টি কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকরা ব্যালট পেপারে সীল মারে এবং ধানের শীষের এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে কেন্দ্র দখল নেয় বলে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মিজানুর রহমান খোকন মিয়া দাবি করেছে।
বিডি-প্রতিদিন/২০ মার্চ ২০১৬/ এস আহমেদ