রাজশাহীর দুর্গাপুরের আমগ্রামে একই আমগাছের সঙ্গে এক প্রেমিক যুগলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার দুপুরে তারা বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর আজ শনিবার সকালে ওই প্রেমিক যুগলের লাশ উদ্ধার করা হয়।
মৃত দুজন হলেন: আমগ্রামের আবদুল মজিদের ছেলে খোকন ইসলাম (২৩) ও একই গ্রামের আবু সাইদ বুদনের স্ত্রী তিনা খাতুন (২৭)। তবে খোকনের পরিবার থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, তাদের দুজনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পরিমল চক্রবর্তী।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, এক সন্তানের জননী তিনার সঙ্গে রাজশাহী নগরীতে একটি ইলেকট্রনিক্স দোকানে কর্মরত খোকনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ সম্পর্কের বিষয়টি তিনার স্বামী মেনে নিতে পারেননি। এরই মধ্যে তিনাকে নিয়ে খোকন শুক্রবার দুপুরে বাড়ি থেকে বের হয়ে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি দেয়। তাদের খুঁজতে বের হন তিনার স্বামী আবু সাইদ বুদনসহ তার লোকজন। তারা দিনভর খুঁজেও তিনা ও খোকনের কোনো খোঁজ পাননি বলে রাতে গিয়ে গ্রামের লোকজনকে জানান।
এরপর আজ শনিবার খোকন ও তিনার বাড়ির পাশে একটি আমগাছের সঙ্গে দুজনের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান এলাকাবাসী। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, তিনা ও খোকন দুজনের কোমর একই ওড়না দিয়ে বাধা ছিল। তাদের লাশও একই ওড়না দিয়ে ঝুলানো ছিল। দুজনের কোমর একসঙ্গে বাধার কারণেই বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে।
খোকনের পরিবারের লোকজন দাবি করেছেন, তাদের দুজনকে তিনার স্বামীর পরিবারের লোকজন পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। দুজনের প্রেমের সম্পর্ক মেনে নিতে না পেরেই তাদের হত্যা করা হয়েছে বলেও দাবি করেন খোকনের পরিবারের লোকজন।
দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পরিমল চক্রবর্তী জানান, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তাদের হত্যা করা হয়েছে-নাকি তারা নিজেরাই আত্মহত্যা করেছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলেই বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া যাবে।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৬ মার্চ, ২০১৬/ রশিদা