কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় ধরমপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্রাক্তন ইউপি সদস্য বজলুর রহমান ওরফে বজু মেম্বারের বিরুদ্ধে কিশোরী (১৩) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বজু মেম্বার ওই কিশোরীর ঘরে প্রবেশ করে তার মুখ বেঁধে পাশের গোয়ালঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যায়।
শুক্রবার ভোরে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পরিবারের লোকজন ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। ওই কিশোরী ধরমপুর এএসকেএমপি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।
ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর দাদা মল্লিক বলেন, ''গভীর রাতে ধর্ষক বজু মেম্বার এসে আমাকে সংবাদ দিয়ে বলে, তোর নাতনির ঘরে অন্য ছেলে প্রবেশ করেছে। এরপর নাতনির খোঁজখবর করে তাকে আর পাইনি। এরপর আবারো ধর্ষক বজু মেম্বারের কাছে গেলে সে বলে, গোয়ালঘর এলাকায় খোঁজ করো, পাবে। তার কথা মতোই গোয়ালঘরে নাতনিকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করি।''
ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী বলে, ''দীর্ঘদিন ধরেই বজু মেম্বার আমাকে উত্যক্ত করে আসছিল। রাতে আমার মুখ চেপে ধরে নিয়ে যাওয়ার আগেই আমি তাকে চিনতে পারি। এরপর আমাকে অজ্ঞান করে কোথায় নিয়ে যায় তা আমি জানি না।’
ধর্ষিতার পিতা কুদ্দুস আলী বলেন, ''বজু প্রভাবশালী মেম্বার। সে-ই আমার মেয়েকে রাতের অন্ধকারে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যায়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত বজলুর রহমান ওরফে বজু মেম্বারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি। বর্তমানে তার মোবাইলফোন বন্ধ রয়েছে।
ভেড়ামারা থানার ওসি (তদন্ত) আতিকুর রহমান জানান, গুরুত্বর অসুস্থ এবং সংজ্ঞাহীন অবস্থায় ওই কিশোরীকে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক তদন্ত শেষে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/১৫ এপ্রিল ২০১৬/ এস আহমেদ