ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট থেকে নিখোঁজের দুই দিন পর রুকন মিয়া (২৩) নামে এক মোটরসাইকেল চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শেরপুর নালিতাবাড়ী উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের বন্ধের কুড়া শ্মশানের কাছ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সকালে দুইজনকে আটক করে পুলিশ।
রুকন মিয়া ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার ভবনকুড়া ইউনিয়নের তেলিখালি গ্রামের হাজী ফজলুল হকের ছেলে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- নালিতাবাড়ী উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের বিশগিরিপাড়া গ্রামের হাফিজুল ইসলাম (১৮), আশরাফুল হক (২০) ও জাহেদুল ইসলাম (২৫)।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় রুকনের মোটরসাইকেল ভাড়া নেন নালিতাবাড়ী উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের বিশগিরিপাড়া গ্রামের হাফিজুল ইসলাম, আশরাফুল হক ও জাহেদুল ইসলাম। রাতে রুকন বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজতে থাকেন। কোথাও খুঁজে না পাওয়ায় রুকনের বাবা ফজলুল হক বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার হালুয়াঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন।
এ বিষয়ে নালিতাবাড়ী উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়ন পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান খোরশেদ আলমকে জানানো হলে তার নেতৃত্বে শুক্রবার বিশগিরিপাড়া বাজারে হাফিজুল, আশরাফুল ও জাহেদুলসহ তার পরিবারকে ডাকা হয়। এক পর্যায়ে তারা রুকনকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। তাদের দেওয়া তথ্যমতে উপজেলার বেলতৈল এলাকার রাজারামকুড়া মহাশ্মশানের পাশের খেত থেকে রুকনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম বলেন, ফজলুল হক বিষয়টি জানানোর পর সকালে বিশগিরিপাড়া বাজারে সালিশ ডাকা হয়। একপর্যায়ে তিন যুবক রুকনকে হত্যার কথা স্বীকার করলে গ্রামবাসী তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমএ হক বলেন, হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী থানার ওসির সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৫ এপ্রিল ১৬/ সালাহ উদ্দীন