ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা, স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হেমায়েত হোসেন মোল্যা তার জীবন নিয়ে শংকা প্রকাশ করেছেন। শনিবার দুপুরে রুপাপাত বাজারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন তিনি।
অভিযোগ করে হেমায়েত হোসেন মোল্যা বলেন, তিনি বোয়ালমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি হিসাবে দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব পালন করছেন। আসন্ন নির্বাচনে তিনি দলের মনোনয়ন চান। কিন্তু সাবেক বিএনপি নেতাকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেয়ায় তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দেন। মনোনয়নপত্র জমা দেবার পর পরই আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও তার সহকর্মীরা তাকে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালাতে দিচ্ছে না।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী তাকে কোথায় নির্বাচনী প্রচারনা চালাতে দিচ্ছেন না। তাকে প্রতিনিয়ত বাধা দেয়া হচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে তার কর্মী সমর্থকদের মারধর, মোটর সাইকেল ভাংচুর করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। শুক্রবার তিনি নির্বাচনী প্রচারনার কাজে কলিমাঝি গ্রামে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে ঘিরে ধরে। এসময় বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী রামদা, চাইনিজ কুড়াল, হকিস্টিক, লোহাররড নিয়ে আমাদের ঘিরে ধরে। এলাকা ছেড়ে না গেলে তারা আমাকে হত্যার হুমকি দেয়। পরে তার সাথে থাকা লোকজনদের মারধোর করে মোটর সাইকেল ভাংচুর করে। উপায়ন্তর না দেখে পরে আমি আমার কয়েকজন সমর্থককে নিয়ে সেখান থেকে চলে আসতে বাধ্য হই।
হেমায়েত হোসেন অভিযোগ করে আরও বলেন, নির্বাচন থেকে সে সরে না দাঁড়ালে তাকে বিভিন্ন ভাবে প্রাননাশের হুমকি দিচ্ছে সন্ত্রাসীরা। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আজিজুর রহমানের সন্ত্রাসী বাহিনীর তাণ্ডবে আমি আমার নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারছি না। এ বিষয়ে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাচন অফিসার, বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হেমায়েত হোসেন জানান, বেশ কিছুদিন ধরে স্থানীয় বেশকিছু সন্ত্রাসী এলাকার মানুষদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। জোর করে ভোট কেটে নেবার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। এ বিষয়ে তিনি দ্রুত প্রদক্ষেপ নেবার জন্য নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে আবেদন জানিয়েছেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৬ এপ্রিল, ২০১৬/ রশিদা