বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী নবাববাড়ি সরকারিভাবে সংরক্ষণের ঘোষণার পর প্রধান ফটকে মালিকানা দাবি করে তিন ব্যবসায়ীর নাম সম্বলিত সাইনবোর্ড ঝোলানো হয়েছে। সোমবার নবাববাড়ির প্রধান ফটকের সামনে দুটি সাইবোর্ড ঝুলতে দেখা গেছে। সাইবোর্ড লাগানোর সময় প্রধান ফটকে থাকা মোহাম্মদ আলী প্যালেস মিউজিয়ামের সাইনবোর্ড সরিয়ে ফেলা হয়।
ওই সাইনবোর্ডে প্রথমে নাম রয়েছে বগুড়া চেম্বার অব কমার্স অ্যাণ্ড ইন্ডাষ্ট্রিজের সাবেক সহ সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল গফুরের। এরপরে রয়েছে বগুড়া চেম্বারের বর্তমান সহ-সভাপতি শফিকুল হাসান জুয়েল এবং তৃতীয় নাম রয়েছে বগুড়া চেম্বারের বর্তমান সভাপতি মাছুদার রহমান মিলমের।
বগুড়ার ঐতিহ্য স্থাপনা রক্ষা কমিটির দাবির প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় বগুড়ার শতশত বছরের ঐতিহ্যবাহী নবাববাড়ি সংরক্ষণের সিদ্বান্ত গ্রহণ করে সরকার। সংস্কৃতি মন্ত্রনালয় থেকে প্রেরিত পত্রে এ সিদ্বান্তের কথা জানানো হয়। পত্রে বলা হয়েছে যে, বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী নবাব বাড়িটির (পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর স্মৃতি বিজড়িত বাড়ি) ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্ব থাকায় ১৯৬৮ সালের পুরাকীর্তি আইন অনুযায়ী পুরকীর্তি হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় সরকার এটা সংরক্ষণের সিদ্বান্ত গ্রহণ করেছে।
গত ৫ মে বগুড়া জেলা প্রশাসক আশরাফ উদ্দিন পত্র প্রাপ্তির কথা জানিয়ে বগুড়ার নবাববাড়ি পুরাকীর্তি হিসেবে সংরক্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিডি-প্রতিদিন/ এস আহমেদ