বরিশালের হিজলা উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামে ৯০ বছরের বৃদ্ধ খালেক সিকদারকে মাত্র দুই হাজার টাকা ছিনতাইয়ের জন্য খুন করা হয়েছে। গত সোমবার রাতে খুনের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত আহম্মদ আলী জালাল ও কাজল খন্দকার পুলিশের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। পরে তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন। এর ফলে গত ১৩ এপ্রিল খালেক সিকদার হত্যা রহস্যের জট খুলেছে।
খালেক হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিজলা থানার এসআই ইউসুফ আলী গ্রেফতার হওয়া দুইজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আহম্মদ আলী ও কাজল খন্দকার উভয়ে কালিকাপুর গ্রামের বাসিন্দা ও মাদকাসক্ত। তাদের কয়েকজন সঙ্গী আছেন যারা নিয়মিত একসঙ্গে মাদক সেবন করেন। ওই মাদকাসক্ত ব্যক্তিরা প্রায়ই বৃদ্ধ খালেক সিকদারের কাছ থেকে জোরপূর্বক টাকা নিতো। খালেক সিকদারের দুই মেয়ে ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করেন। তাদের পাঠানো টাকা খালেক সিকদার সব সময় সঙ্গে রাখতেন।
গত ১৩ এপ্রিল খালেক সিকদারের সঙ্গে মেয়েদের পাঠানো দুই হাজার টাকা ছিল। আহম্মদ আলী ও কাজল খন্দকার তার কাছে ওই টাকা চায়। তিনি (খালেক) টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এরপর রাত ১০টার দিকে তারা খালেক সিকদারকে ডেকে বাড়ির পাশে একটি নির্জন চরে নিয়ে যায়। সেখানে খালেক সিকদারকে শ্বাসরোধে হত্যা করে সঙ্গে থাকা দুই হাজার নিয়ে যায় খুনীরা।
এসআই ইউসুফ আলী জানান, পরদিন সকালে চরের মধ্যে খালেক সিকদারে মরদেহ পাওয়া গেলেও হত্যার কোন ক্লু পাওয়া যায়নি। তার ছেলে মান্নান সিকদার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। গত সোমবার রাতে গুয়াবাড়িয়া বাজার থেকে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় আহম্মদ আলী ও কাজল খন্দকারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের মুখে তারা খালেক সিকদারকে হত্যার কথা স্বীকার করে।
আহম্মদ আলী জানিয়েছেন, খুনের সময় তাদের আরও ৫/৬ জন সহযোগী ছিলেন। খুনের পর খালেক সিকদারের সঙ্গে থাকা ২ হাজার টাকা তারা নিয়ে যান। এর মধ্যে মাত্র ২শ’ টাকা ভাগে পেয়েছে আহম্মদ আলী।
বিডি-প্রতিদিন/১০ মে, ২০১৬/মাহবুব